পিনাকী ভট্টাচার্য : গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত আমরা গুমের পেছনে জড়িতদের বিচারের দাবিতে এক ভয়ংকর শক্তির বিরুদ্ধে লড়ছি। অবশেষে প্রথম ধাপে আমরা ওয়াকারকে পরাজিত করতে পেরেছি। আজ ট্রাইবুনাল এক ঐতিহাসিক ও পাহাড়সম কঠিন কাজ করেছে।

জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) ও টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে গু/ম ও নি/র্যা/ত/নের দুই মামলায় মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই সফলতার পেছনে ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও গু/মে/র শিকার ব্যক্তিদের একত্র প্রচেষ্টাই বড় ভূমিকা রেখেছে। প্রফেসর ইউনূসের সাহস ও সহযোগিতাও ছিল অনন্য।
আজকের এই ঘটনা থেকে বাংলাদেশের মিডিয়া কারা নিয়ন্ত্রণ করে সেটি নিয়েও ধারণা পাওয়া গিয়েছে। আজ আমার দেশ ও কয়েকটি গণমাধ্যম ছাড়া কেউই সাবেক ডি/জি/এফ/আই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার খবরটিতে “ডি/জি/এফ/আই” শব্দটি ব্যবহার করেনি। সবার শিরোনামে ছিল শুধু হাসিনা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের নাম।

জেনারেল ওয়াকার গুম-খুনে জড়িতদের রক্ষায় আগামী নির্বাচনে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের নানা প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এমনকি কিছু মানুষকে সামরিক এলাকায় ‘পিএনজি’ করা হয়েছে বলেও আমাদের কাছে তথ্য আছে। ওয়াকার পারলে তার আত্মীয় কাডাল রানীকেই ক্ষমতায় রাখতেন। এখন যা-ই করুন না কেন, ব্যর্থ হবেন। কারণ তিনি মিত্র না হয়ে বেছে নিয়েছেন কালপ্রিটদের রক্ষা করার পথ। অথচ গু/ম ও খু/নে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলে আজ তিনি সবার শ্রদ্ধার পাত্র হতে পারতেন।

ট্রাইবুনালকে সহায়তা করা গু/মের ভিক্টিম ব্রিগেডিয়ার আযমী, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান, ব্যারিস্টার আরমান ও মাইকেল চাকমাসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ড/গি/র সব কালপ্রিট ও গু/ম-খু/নে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করাই আমাদের জুলাইয়ের শপথ। আমরা জেগে আছি, কাজ করে যাব। ক্ষমতার ভাগাভাগিতে কারা কারা এই বিষয়ে দালালের ভূমিকা নেয়, জনগণকে তা জানাব। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। (ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া)