নড়াইলে জবর দখল-অপরিকল্পিত ভাবে ঘের কেটে ফসিল জমি নষ্ট করায় ৩জনকে আটক করে পুলিশ

স্বাস্থ্য

মো: রফিকুল ইসলাম, নড়াইল: নড়াইলের লোহাগড়া কৃষকদের জমিতে জোর করে মাছের ঘের কাটার অভীযুক্ত ৩জনকে আটক করেছেন পুলিশ।
নড়াইল ও লোহাগড়া বিলের ফসল ও মাছে অভয়াশ্রমকে নষ্ট ও জবর দখল করে মাছের ঘের সংক্রান্ত এক রিপোর্ট বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হবার পর নড়ে চড়ে বসেছেন নড়াইলের প্রশাসন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জন কে আটক করেছেন পুলিশ।
জানা যায়, কামাল প্রতাপ গ্রামের এনায়েত কাজী, আমাদা গ্রামের কামরুল খান, এবং কামঠানা গ্রামের মিন্টু মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে সদরের বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কামাল প্রতাপ গ্রামের আন্ধারকোটা বিলে গত দুই মাস পূর্ব থেকে এনায়েত কাজী প্রায় ১৫ একর, পার্শ্ববর্তী লোহাগড়া উপজেলার আমাদা গ্রামের কামরুল খান ৪০ একর এবং কামঠানা গ্রামের মিন্টু মিয়া আন্ধারকোটা বিলে ৬০ একর জমিতে জবরদখল করে এ মাছের ঘের করছে।
অভিযোগে জানা গেছে, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি কামাল প্রতাপ গ্রামের বাসিন্দা ফায়েকুজ্জামান ফিরোজের ৪২ শতক, দুলাল বিশ্বাসের ৯০ শতক, শক্তিপদ বিশ্বসের ৭৮শতক, শান্তিরাম বিশ্বাসের ১একর ২৬শতক, প্রশান্ত বিশ্বাসের ৬০ শতক, সুশীল মন্ডলের ১২ শতক, সৈয়দ রানার ৭৫ শতক এবং সৈয়দ নায়েব আলীর ১একর, সত্যরঞ্জন মালাকারের ১ একর ১৪ শতক, ভক্তদাস বিশ্বাসের ৭৮শতক, সিদ্দিক মল্লিকের ১ একর ৩৫ জমি জবর দখল করে কামরুল, এনায়েত ও মিন্টু মাছের ঘের কেটেছে।
শেষের দিকে অন্যায়ের প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভোগিরা এক সপ্তাহ আগে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেন।
এদিকে এমনভাবে ঘের কেটেছে তাতে ওই গ্রামের জয় বিশ্বাস, খায়ের মল্লিক, আমজাদ কাজীসহ অনেকের প্রায় ২০-২৫ একর জমিতে যাওয়ার কোনো পথ নেই। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করা হলে হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন বিলে কয়েক হাজার একর ফসলি জমিতে অপরিকল্পিত এবং জবরদখল করে অসংখ্য মাছের ঘের গড়ে উঠেছে। ফলে ফসলি জমি কমে যাচ্ছে, দেশী মাছের বিলুপ্তি হচ্ছে, খাল থেকে পানি জমিতে প্রয়োজনের সময় ঢুকতে এবং বের হতে না পারায় ফসল হানি ঘটছে। তবে স্থানীয় একটি দালাল চক্র বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করছে।
সদর থানার ওসি মোঃ ইলিয়াছ হোসেন বলেন, সোমবার রাতে অভিযুক্ত তিনজনকে কামাল প্রতাপ গ্রাম থেকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা জানান, যারা কৃষকের ফসিল জমি কেটে অপরিকল্পিত ভাবে ঘের তৈরী করছেন।
কৃষি জমির টপসয়েল নষ্ট করছেন,তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।


বিজ্ঞাপন