প্রাইভেট প্রাক্টিসে ব্যস্ত স্বরূপকাঠির ছারছীনা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার

অপরাধ সারাদেশ স্বাস্থ্য

পিরোজপুর প্রতিনিধি : স্বরূপকাঠিতে সরকারী দায়িত্ব পালন না করে প্রাইভেট প্রাক্টিসে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার ছারছীনা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. সৌমেন দে। ভোর হতে না হতেই ছুটে যান বেসরকারী ক্লিনিকে অপারেশনের রোগীর এ্যানেস্থিশিয়া দেওয়ার কাজে। ওই কাজ শেষ করে বসে যান প্রাইভেট প্রাক্টিসের চেম্বারে। সেখান থেকে কল পেয়ে ছুটে যান অপারেশনের কাজে। এ কাজ চলে তার গভীর রাতাবধি। ওই চিকিৎসক নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা করেন না। মানছেন না উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোন নির্দেশনা।
স্থানীয় রোগীদের অভিযোগ পেয়ে সাংবাদিকরা সরেজমিনে ছারছীনা উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে খোজ নিয়ে জানা যায় তিনি স্থানীয় এ্যাপেক্স ক্লিনিকে অপারেশনের কাজে ব্যাস্ত। দুপুর ১২টার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনেই জ্যাকলিন ফার্মেসীতে ব্যাক্তিগত চেম্বারে বসে প্রাইভেট রোগী দেখছেন। এ খবর পেয়ে সাংবাদিকরা সেখানে গেলে তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। তিনি সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের জবাব দিতে আগ্রহী নন। ওই চিকিৎসক আরো বলেন, আপনারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বলবেন তারা আমার কি করবেন বড় জোর বদলি করবে। তাতে কিছু আসে যায় না। তার কর্মকান্ড সম্পর্কে খোজ নিয়ে জানাযায়, তিনি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে না গিয়ে প্রতিনিয়ত এ্যাপেক্স ও মেডিপ্রাইম ক্লিনিকে অপারেশনে অংশ নেন। ওই দুই ক্লিনিকে খোজ নিয়ে তাদের রেজিষ্ট্রার সূত্রে জানা যায় ২০ জুন সকাল ৮ টা ৪৩ মিনিট, সকাল ৯টা ৪০ মিনিট, দুপুর ১২ টা ৩৫মিনিটে এ্যাপেক্ষ ক্লিনিকে, একই তারিখে সকাল ১০ টা ৩৫মিনিটে, ১১ টা ১০মিনিটে, দুপুর ১ টা ৩৫মিনিটে মেডিপ্রাইম ক্লিনিকে অপারেশনে অংশ নেন। ২২ জুন সকাল ৮ টা ১০মিনিটে, ৯টা ৫মিনিটে, এ্যাপেক্সে ক্লিনিকে অপারেশনে অংশ নেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফিরোজ কিবরিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে বার বার কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেও সে কথা মানছেন না। ২২ তারিখে কর্মস্থলে উপস্থিত না থেকে জ্যাকলিন ফার্মেসীতে বসে রোগী দেখার বিষয়ে কেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা সে মর্মে তাকে ৩দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি পিরোজপুরের সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়েছে।
পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকি’র সাথে কথা বললে তিনি জানান বিষয়টি শুনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কারণ দর্শানোর কপি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বিজ্ঞাপন