নিজস্ব প্রতিবেদক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ আগামীতে বিশ্বে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চায়। পৃথিবীতে যুদ্ধ, বিগ্রহ ও অশান্তি কমাতে হলে ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী নির্বিশেষে একে অপরের প্রতি বিদ্বেষ কমাতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে সামার সেমিস্টার ২০২০-এ ভর্তি হওয়া নবাগত শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল নবীনবরণ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, হিংসা-বিদ্বেষের কারণে পৃথিবীতে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। মিয়ানমারের ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণও হিংসা-বিদ্বেষ।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষদের জন্য সারাবিশ্বে কর্মসংস্থানের বাজার উন্মুক্ত রয়েছে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তিখাতে প্রায় ছয় লাখ দক্ষ জনবল আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণে বাংলাদেশ এ খাতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শিক্ষা। শিক্ষা দুর্বল হলে নীতি, রাষ্ট্রীয় আইন-কানুন দুর্বল হয়, দেশ পিছিয়ে যায়। এ কারণে গুণগতমানের শিক্ষার গুরুত্ব সবসময় থাকে। শিক্ষা ছাড়া উন্নত জীবন সম্ভব নয়। আত্মবিশ্বাস এবং বর্তমান সময়কে সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারলে সফলতা আসবে। অতীত থেকে প্রেরণা নিতে হবে, কিন্তু অতীত নিয়ে বসে থাকা চলবে না। ভবিষ্যতের নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য এখন পরিশ্রম করতে হবে।
যথাযথ শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলে শিক্ষার্থীরা এই দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভার্চুয়াল নবীনবরণ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম, ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা এ এন এম মেশকাত উদ্দীন, রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল (অব.) কাজী ফখরুদ্দীন আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নবাগত শিক্ষার্থীরা।