কাঁচামরিচে আগুন

অর্থনীতি জীবনী রাজধানী

বেড়েছে সবজির দাম

 

নিজস্ব প্রতিনিধি : সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম না বাড়লেও আগের চড়া দামেই অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে শাকের বাজার। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা, রসুন, চাল, ডাল ও ভোজ্যতেল। তবে কিছুটা কমেছে মুরগি, গরু ও খাসির মাংসের দাম। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এ দিকে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় দুয়েকটি ছাড়া অধিকাংশ সবজির দাম গত সপ্তাহের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে চট্টগ্রামের বাজারে। পাশাপাশি বাড়েনি মাছ-মাংসের দামও।
শুক্রবার সকালে নগরের কাজির দেউড়িসহ কয়েকটি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
রেয়াজউদ্দিন বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. মজনু মিয়া বলেন, বর্ষাকালে সাধারণত সবজির দাম বাড়ে। তবে এখন পচনশীল হওয়ায় শুধু টমেটো, আলু ও কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। অন্যান্য সবজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
তবে সপ্তাহের অন্যান্য দিন স্বাভাবিক থাকলেও শুক্রবার চাহিদা বেশি থাকায় মাছ-মাংসের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।
চকবাজারে টমেটো ১০০-১২০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১২০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা, কাঁকরোল ৩০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ২৫ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, শসা ২৫ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, লাউ ২৫ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, বরবটি ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাজীর দেউড়ি বাজারে লইট্যা ১২০-১৩০ টাকা, সুরমা ৩শ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ টাকা, বাটা ৩শ টাকা, রুই ২৫০ টাকা, কাতাল ৩২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে পাকিস্তানি লেয়ার মুরগি ২৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকা, গরুর মাংস সাড়ে ৭শ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮শ টাকা কেজি দরে।
রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম না বাড়লেও আগের চড়া দামেই অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে শাকের বাজার। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা, রসুন, চাল, ডাল ও ভোজ্যতেল। তবে কিছুটা কমেছে মুরগি, গরু ও খাসির মাংসের দাম। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙা-চিচিঙা-ধুন্দল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ও উস্তা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি (ছোট) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লতি (বড়) ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকায়।
প্রতিকেজি ডায়মন্ড আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা, ছোট আলু ৪৫ টাকা, টমেটো (ছোট) ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো (ফ্রেশ) বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিদরে। তবে দাম কমেছে বরবটি, পেঁপে, মুলা, কাঁচা মরিচ ও ঢেঁড়সের।
প্রতিহালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকা, প্রতিপিস লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, জালি কুমড়া ৫০ টাকায়। দাম অপরিবর্তিত আছে কলা, বড় কচু, পুদিনা পাতা, ধনিয়া পাতা ও মিষ্টি কুমড়ার। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে শাক। বর্তমানে এসব বাজারে প্রতিআঁটি (মোড়া) কচুরশাক বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ১০ থেকে ১৫ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, মুলার শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, লাউ ও কুমড়ার শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা মোড়া বিক্রি হতে দেখা গেছে।
দাম কমেছে গরু ও খাসির মাংসের। কেজিতে ২০ টাকা কমে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা, মহিশের মাংস ৫৮০ টাকা, খাসির মাংস কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা, প্রতিকেজি বকরির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২০ টাকা কেজিদরে।
প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আদা (মানভেদে) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিদরে। খোলা সয়াবিন তেল (লাল) বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা লিটার, খোলা (সাদা) সয়াবিন ১০০ টাকা লিটার। খোলা সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার।
প্রতিকেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, মিনিকেট চাল পুরান ৬০ টাকা, বাসমতি চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা, গুটি চাল ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, পায়জাম চাল ৪৬ টাকা, স্বর্ণ চাল ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, আটাশ চাল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, আতপ চাল ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা, সরকারি মোটা চাল ৪২ টাকা, এক সিদ্দ চার ৪০ টাকা, পোলাওর চাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজিদরে।
প্রতিকেজি ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, এঙ্কর ৫০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা, মসুর (মোটা) ৮০ টাকা কেজিদরে।


বিজ্ঞাপন