বিশেষ প্রতিবেদক : পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দেশময় ঝড় ওঠা সেই আলোচিত বালিশকান্ডের ঠিকাদারকে জামিন দিয়েছে আদালত।
পাবনা জেলা ও দায়রা জজ মকবুল আহসানের আদালত এ জামিন আবেদন গত বৃহস্পতিবার সকালে মঞ্জুর করে। তবে এ জামিনের খবর সেইদিন স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে পারেননি। জামিন পাওয়া শাহাদত হোসেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাজিন কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী। শাহাদতের জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমার হাতে জামিনের কাগজপত্র এখনো আসেনি।
রূপপুর বালিশকান্ডের ঠিকাদার শাহাদত হোসেন রূপপুর বালিশকান্ডের ঠিকাদার শাহাদত হোসেন গত বছরে মামলা হওয়ার পর থেকেই তারা জেলে ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তারা হাই কোর্টসহ আদালতে জামিন আবেদন করলেও আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে দেন। তবে মামলাটির এখনো অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মামলার দিনগুলিতে আমাদের দুদকের আইনজীবীরা উপস্থিত থাকেন।
গত বৃহস্পতিবার পাবনা জেলা ও দায়রা জজ মকবুল আহসানের আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক নথি যাচাই-বাছাই শেষে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়। এ সময় দুদকের আইনজীবী হিসেবে ওবাইদুল হক ও আব্দুজ জাহিদ রানা এবং বাদী পক্ষে আইনজীবী হিসেবে সনৎ কুমার সরকার ও সাহাবুদ্দিন সবুজ উপস্থিত ছিলেন বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।
দুদকের এজাহারে বলা হয়েছে, প্রকল্পের দুইটি ভবনের জন্য কেনা বালিশের মধ্যে একটি বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয়েছে ছয় হাজার ৭১৭ টাকা। এর মধ্যে বালিশের দাম পাঁচ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং সেই বালিশ ফ্ল্যাটে ওঠানোর খরচ ৭৬০ টাকা দেখানো হয়।
রূপপুরে ভবনের জন্য অস্বাভাবিক দামে আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী কেনায় দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এই দুর্নীতি ও অনিয়মে ৩১ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গত ১৩ ডিসেম্বর ১৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করে দুদক।
দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন ও উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে পাবনা দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো করেছিলেন। এর মধ্যে দুইটি মামলায় শাহাদতের নাম রয়েছে বলে জানায় পাবনা দুদকের সংশ্লিষ্টরা।
মামলার পরপরই ১৩ আসামিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।