তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

অপরাধ আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক : বগুড়ার ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল আলীম দীর্ঘদিন যাবত কাঁচপুরের ওপেক্স সিনহা টেক্সটাইল লিমিটেড কোম্পানির হেড অব ডিজিএম পদে কর্মরত ছিলেন। কিশোরগঞ্জের মেয়ে দীপা আক্তারের সাথে রং নাম্বারে পরিচয় সূত্রে সুকৌশলে বিবাহিত আব্দুল আলীম মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আগের বৌকে না জানিয়ে সাভারে একটা কাজী অফিসে দীপা আক্তারকে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক পাঁচ লাখ পঞ্চাশ হাজার (৫,৫০০০০)টাকা কাবিন দিয়ে দীপা আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ে করে আব্দুল আলীম নিজ বাসা নিয়ে যায় । সুকৌশলে দীপাকে ভরণ-পোষণ না দিয়ে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে আব্দুল আলীম। কয়েকদিন পর দীপা আক্তার কোনো কিছু বোঝার আগে স্বামী আব্দুল আলীম তালাক নোটিস পাঠায়। যা দেখে দীপা আক্তার হতাশ হয়ে পড়ে। তালাক দেওয়ার কিছুদিন যেতে না যেতে আব্দুল আলীম বিভিন্ন কৌশলে দীপা’কে মানসিক চাপে ফেলে প্রতিনিয়ত ধর্ষন করে। কুলকিনারা না পেয়ে আইনের আশ্রয় নেয় দীপা। উক্ত বিষয় নিয়ে দীপা আক্তার ডেমরা থানায় ধর্ষক আব্দুল আলীম এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯(১)ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। নিয়মনুযায়ী দীপা ৩০আক্টোবর ২০ ইং তারিখ হতে ৩০ অক্টোবর ২০ ইং পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল হসপিটালে ওসিসিতে চিকিৎসাধীন থেকে সকল ডকুমেন্ট দিয়ে ডেমরা থানায় মামলা দায়ের করেন মামলা নং-৪৯(০৯)২০ বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। প্রতিনিয়ত দীপা ধর্ষণ হওয়ার সকল আলামত পাওয়ার পর ও ১১ অক্টোবর ২০ ইং তারিখে উক্ত মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আলমগীর হোসেন ও তদন্ত ওসি রফিকুল ইসলাম দীপাকে সন্ধ্যায় থানা ডেকে নিয়ে বলে তোমার ধর্ষেনের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। যা শুনে দীপা আক্তার হতবাগ হয়ে পড়ে অথচ নারী ও শিশু নির্যাতন এর দায়ের করা মামলায় ধর্ষক আব্দুল আলীম জেল হাজতে আছেন। দীপা আক্তার বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারীদের অনেক সম্মান দিয়েছেন তাদের নির্যাতনে কঠোর আইন করেছেন। দীপা আক্তারের একটাই চাওয়া ধর্ষক আব্দুল আলীমের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে তার দ্রুত ক্ষতি পুরণ দেওয়ার ও দাবী জানিয়েছেন। সর্বশেষ দীপা আক্তার বলেন, আমি একজন নারী হয়ে বলতে চাই ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের আইনটি যথাযথ কার্যকর হোক যাতে করে সমাজে আমার মতো কোনো নারীর এমন পরিনতি না হয়।


বিজ্ঞাপন