হাসিনা-মোদি বৈঠক : অর্থনৈতিক অগ্রগতির বড় সাফল্য

এইমাত্র জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : বড় কোনো ইস্যু নিয়ে আলোচনা বা সমাধান না এলেও বাংলাদেশ ও ভারতের সরকার প্রধানদের ভার্চুয়াল বৈঠককে প্রতিবেশী দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিক থেকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা মাথায় রেখে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে মনোযোগী হতে হবে বাংলাদেশকে। এতে করে নদীর পানিবণ্টন, সীমান্তে হত্যা, রোহিঙ্গা সঙ্কটের মতো বড় বড় সমস্যা সমাধানে আসবে ফলপ্রসু সমাধান।
বাংলাদেশ-ভারত পারস্পরিক স্বার্থের সুতোয় বাধা দুই প্রতিবেশীর সম্পর্কের শুরুটা হয়েছিল ঘোর দুর্দিনে। মুক্তিযুদ্ধে আশ্রয়দাতা রাষ্ট্রটি দিনে দিনে অর্থনীতি, রাজনীতি, নিরাপত্তাসহ নানা প্রয়োজনের সারথী হয়ে উঠেছে। দ্বিপক্ষীয় এই সম্পর্কে ইতিবাচক অগ্রগতি যেমন আছে, আছে টানাপোড়েনও।
দুই সরকার প্রধান শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর ভার্চুয়াল বৈঠককে ঘিরে আগ্রহের পারদ ছিল বেশ চড়া। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। চালু হয় ৫৫ বছর ধরে বন্ধ থাকা চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল লিংক।
তবে তিস্তার পানিবন্টন, সীমান্তে হত্যা বন্ধসহ বড় ইস্যুকে উপেক্ষা হতাশা জাগিয়েছে। তারপরও বৈঠকটি অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিক থেকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, নদীর পানি বন্টন, সীমান্ত হত্যা এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন বিষয়ে আলোচনা হয়নি। এতে অনেকেই হতাশ।
তবে প্রতিশ্রুতি মিলেছে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে ভারতকে পাশে পাওয়ার। এক্ষেত্রে চীনসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গেও সম্পর্কোন্নয়নে যতœশীল হওয়ার পরামর্শ তাদের।
অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের যে জনসংখ্যা বাংলাদেশে আছে, সেটা ভুটানের থেকে বেশি। আমাদের প্রতিবেশী ভারত ও চীনের কাছে আমাদরে চাওয়া হবে তারা যেন এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। কিন্তু সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি। সেই সাথে পানি বন্টনের সমাধানও হয়নি।
সামিটে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও বাংলাদেশকে ভ্যাকসিনের মান-দাম এবং সর্বোচ্চ সুবিধা মাথায় রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।


বিজ্ঞাপন