পুলিশ পরিবারের সন্তানদের মানসিক বিকাশে পুনাক মতবিনিময়
নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) পুলিশ পরিবারের নারী সদস্যদের ক্ষমতায়ন ও তাদের সন্তানদের মানসিক বিকাশ এবং মেধার উন্নয়নে গত তিন দশক ধরে কাজ করে আসছে।
নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পুনাক বৃহস্পতিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজন করেছে পুলিশ পরিবারের ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সী সন্তানদের জন্য “এসো শিখি ও মনের কথা বলি” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার । সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা।
পুনাকের বিভিন্ন স্তরের সদস্যাবৃন্দ এবং পুলিশ পরিবারের ৫৯ জন সন্তান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুনাক সভানেত্রী বলেন, আমাদের সন্তানদের মনের দরজা খুলে দিতে আমাদের এ প্রচেষ্টা। পিতা-মাতার পেশা সম্পর্কে সন্তানদের উপলব্ধি কি ও তারা কিভাবে পরিবারকে মূল্যায়ন করে তা তাদেরকে জানানো আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে উপস্থিত সকলের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুনাকের প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা নাসিম আমিন। তিনি বলেন, শিশুদের সঠিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের, বিশেষ করে পিতা-মাতার ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের মানসিক বিকাশে পিতা-মাতার সচেতনতার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
দুই পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে শিশু-কিশোরদের মাঝে সাইবার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি ও সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ডিএমপি’র কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহ্ফুজা লিজা। তিনি শিশু-কিশোররা কিভাবে নিজেদের অজান্তে সাইবার স্পেস ঝুঁকিতে পড়ে, এসব ঝুঁকি এড়াতে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একাউন্টের নিরাপত্তা বিধানে কি করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
দ্বিতীয় পর্ব পুলিশ পরিবারের সন্তানদের সাথে পুনাক সভানেত্রীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাইমা নিগার শিশু-কিশোরদের পরিবারে, স্কুলে এবং বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন মনস্তাত্বিক অভিজ্ঞতা ও সমস্যা নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।