ইমজা সিলেট এরসাথে এসএমপি পুলিশ কমিশনারের মতবিনিময়

সিলেট

নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাথে এসএমপি পুলিশ কমিশনারের মত বিনিময়ের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে আজ সিলেট মহানগরীর উপশহরস্থ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তর এর সম্মেলন কক্ষে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা), সিলেটের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) জনাব বি.এম. আশরাফ উল্যাহ তাহের এর পরিচালনায় উক্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মানিত পুলিশ কমিশনার মোঃ নিশারুল আরিফ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিঃ পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) পরিতোষ ঘোষ, অতিঃ পুলিশ কশিনার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ শফিকুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ, ইমজা, সিলেটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মঈন উদ্দিন মনজু, ইমজা, সিলেটের সাধারণ সম্পাদক সজল ছত্রী, ইমজা, সিলেটের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাধারণ সদস্যগণ। সভার শুরুতে প্রত্যেকেই নিজ নিজ পরিচয় উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে সিলেট মহানগর এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সংক্রান্ত ও পুলিশের সাথে সাংবাদিকদের মিলবন্ধন এর বিষয়ে উপস্থিত প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় তারা কোন ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশের কাছে সংবাদ প্রাপ্তি, পুলিশের সাথে সাংবাদিকদের যোগাযোগ বৃদ্ধি, ভূয়া অনলাইন মিডিয়া, কিশোর গ্যাং, মাদক, জুয়া, তীর শিলং এবং প্রেস এর লোগো ব্যবহার করে অবৈধ কার্যক্রম সম্পাদন সংক্রান্ত বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। উপস্থিত সকলের মতামত গ্রহণ শেষে সম্মানিত পুলিশ কমিশনার মহোদয় তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, পুলিশের সাথে সাংবাদিকদের বন্ধন চির অটুট। আর সেটা অব্যাহত থাকবে। সমাজ গঠনের মূল দায়িত্ব পালন করে সাংবাদিকরা। আর আমরা পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করি। সাংবাদিকদের লেখনীর ফলে সাধারণ জনগণের মাঝে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার লাভ করে। যে কোন অপরাধ গোড়া থেকে নির্মূল করার জন্য সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণের সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বলেন পুলিশের সাথে সাংবাদিকদের যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করতে একজন নির্দিষ্ট অফিসার সাংবাদিকদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ করবেন। তিনি বলেন কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজদের তালিকা প্রস্তুত করে তা প্রতিরোধে অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করে বলেন যদি কোন পুলিশ সদস্যও মাদকের সঙ্গে যুক্ত হয় তাহলে তাকে চাকুরিচ্যূত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন শিলং তীর খেলার এজেন্টদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে তথ্য থাকলে তা দিয়ে সহায়তা করার জন্য আহবান জানান। প্রেস লেখা মোটরসাইকেল এর বিরুদ্ধে এসএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে যদি তাদের কাগজপত্র ঠিক না থাকে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নগরীর লোকজনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা প্রদান করার জন্য প্রতিটি থানায় কিউ.আর,টি টিম গঠন করা হয়েছে। এসএমপি কমিশনার বলেন সাংবাদিক সাকিকে আক্রমণ করার সাথে যারা জড়িত তাদের ০৪ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। পরিশেষে উপস্থিত সবাইকে বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা এবং পুলিশ ও সাংবাদিক একসাথে কাজ করার আহবান জানিয়ে সভার সমাপ্ত ঘোষণা করেন।


বিজ্ঞাপন