নিজস্ব প্রতিনিধি : পিকে হালদারের বিরুদ্ধে রেড এলার্ট জারির জন্য ইন্টারপোলে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে পুলিশ সদর দফতর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার (৪ জানুয়ারি) সকালে পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠজন শঙ্খ বেপারীকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। পিকে হালদারের সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় শঙ্খ বেপারীকে ওইদিন সকালে দুদক কার্যালয়ে ডাকা হয়। অভিযোগ, তার নামে রয়েছে পি কে হালদারের একটি ফ্ল্যাট। আড়াইঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে তাকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেন তদন্ত কর্মকর্তা।
দুদক সচিব জানান, পিকে হালদারের ফ্ল্যাটটি কিভাবে-কেন শঙ্খ বেপারীর নামে- তা নিয়েই ছিল জিজ্ঞাসাবাদ। তবে জিজ্ঞাসাবাদের বক্তব্যে পিকে হালদারের এমন আরো সম্পদ গচ্ছিত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) পিকে হালদারের ২টি ফ্ল্যাট ও প্রায় ৬ একর জমি জব্দের নির্দেশ দেয় আদালত। সুবিধাজনক সময়ে কোটি টাকার এসব সম্পদ জব্দ করতে দুনীতি দমন কমিশনকে আদেশ দিয়েছেন বিচারিক আদালত।
গত বছর দুদক অবৈধ ক্যাসিনো মালিকদের সম্পদের তদন্ত শুরু করলে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে আসে। চলতি বছর ৮ জানুয়ারি দুদক অজ্ঞাত সূত্র থেকে প্রায় ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারী অর্থপাচার মামলায় পিকে হালদার ও তার পরিবারের ৮ সদস্যসহ পিপলস লিজিংয়ের ১২ জনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দ রাখার আদেশ আপিল বিভাগে বহাল থাকে।
বিদেশে পলাতক পিকে হালদারের একাধিক বান্ধবীর নামে ৭০-৮০ টি অ্যাকাউন্টে অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাও করা হয়েছে।