কথিত সাংবাদিক মীর পলাশ গং কর্তৃক সাংবদিক বাবুল খানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে মানববন্ধন

রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : মিরপুর প্রেসক্লাবের কখনও সভাপতি কখনও সাধারণ সম্পাদক পরিচয়দানকারী কথিক সাংবাদিক শফিকুর রহমান পলাশ @ মীর পলাশ গং কর্তৃক সাংবদিক বাবুল খানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।
আজ সকাল ১১টায় মিরপুর ১নং মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে মিরপুর প্রেসক্লাব, জাতীয় সাপ্তাহিক শেষ সংবাদ পরিবার, বৃহত্তর মিরপুর সাংবাদিক সমাজের উদ্দ্যোগে মিরপুর প্রেসক্লাবের কখনও সভাপতি কখনও সাধারণ সম্পাদক পরিচয়দানকারী কথিক সাংবাদিক শফিকুর রহমান পলাশ @ মীর পলাশ গং কর্তৃক সাংবদিক বাবুল খানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী প্রতিবাদে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ম, চঞ্চল মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত প্রতিবাদকারীগণ বলেন, মিরপুর প্রেসক্লাব একটি ঐতিহ্যবাহী সরকারী রেজি:কৃত সংগঠন। যার রেজি নং: এস-১৮০৬(৯৫)৯৬। প্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার ম, কামাল উদ্দিনের একান্ত উদ্দ্যোগে ১৯৯৫ সালে ততকালীন মিরপুরস্থ কিছু উদ্দ্যোমী সাংবাদিকদের একাত্বতায় মিরপুর প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন কমিটির ধারাবাহিকতায় বর্তমানে সভাপতি হিসাবে সাংবাদিক ম. চঞ্চল মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে এস এম জহিরুল ইসলাম দ্বায়িত্বভার পালন করছে। প্রেসক্লাবটি শতাধিক সদস্য’র প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরপুর।
কিন্তু অতীব দু:খের বিষয় কিছু ব্যবসায়ী, ফুটপাতের দোকানদার, স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী শক্তি, সরকার বিরোধী গোষ্ঠী, বিএনপি-জামায়াতের প্রেতাত্বারা ঐতিহ্যবাহী এই প্রেসক্লাবটির নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয়দিয়ে আলাদাস্থানে ক্লাবের সাইনবোর্ড লাগিয়ে সরকার বিরোধী শক্তিতে একত্রিত করার চেষ্টা করছে। এই একত্রিকরণের মূল হোতা কথিত সাংবাদিক শফিকুর রহমান পলাশ @ মীর পলাশ যিনি কয়েকমাস পূর্বেও গাড়ী ব্যবসায়ী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ছিল। এই মীর পলাশই কখনও নিজেকে মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কখনও সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে তার ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করে।
বক্তারা আরও বলেন, কথিত আছে আজ পলাশ গং যে বাড়ীতে মিরপুর প্রেসক্লাবের সাইনবোর্ড লাগিয়েছে সে বাড়ীও সে দখলের পায়তারা করছে। প্রকৃত বাড়ী মালিক বাড়ীটি একটি ব্যাংকের নিকট লোন নিয়ে থাকলেও প্রেসক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে পলাশের দখলদারিত্বের কারনে প্রকৃত বাড়ী মালিক আজ পথে পথে ঘুরছে, লোনদাতা ব্যাংকও কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করতে ভয় পায়।
মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ম, চঞ্চল মাহমুদ বলেন, কথিত সাংবাদিক মীর পলাশ গং-এর ক্লাবের কখনও সভাপতি কখনও উপদেষ্টা পরিচয়দানকারী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ডাকনামে প্রতিষ্ঠিত কমলকুড়ি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। জাকির হোসেন মোল্লা একজন দাগী অপরাধী। তার বিরুদ্ধে প্রায় ২০টি মামলা রয়েছে। এরকম কিছু অপরাধী, ঠকবাজ, দখলবাজ সরকার বিরোধী শক্তির মদদদাতা একত্রিত সুসংগঠিত হওয়ার পায়তারা করছে।
বৃহত্তর মিরপুর সাংবাদিক সমাজের আহবায়ক জামান কামাল বলেন, ওরা কখনও সাংবাদিক ছিল না। ওরা ব্যবসায়ী, দোকানদার, বিভিন্ন মামলার আসামি। এরা সাংবাদিক পরিবারের ঢুকে পড়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের সুনাম ক্ষুন্ন করতে লিপ্ত। এদের এখনই প্রতিহত করতে হবে।
মিরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রকৃত সাংবাদিকের বিপক্ষে নয়। আমরা কোন সাংবাদিকের মান ক্ষুন্ন করতে দিতে পারিনা। এসব কথিত সাংবাদিকদের অপ-সাংবাদিকতার হাত থেকে সবাইকে সজাগ করতেই আজকের এ মানববন্ধনের মাধ্যমে আমরা রাস্তায় দাড়িয়েছি। আমরা বাবুল খানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের শাস্তি চাই।
মিরপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এনামুল ইসলাম বলেন, এরা সাংবাদিকতার অন্তরালে নানান অপরাধ মূলক আইন বিরুদ্ধ কাজের সাথে জরিত থেকে মূল সাংবাদিকের মান সন্মান নষ্ট করার পায়তারায় লিপ্ত। এদের এখনই প্রতিহত করতে হবে।
মিরপুর প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এ টি এম শামসুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তদন্ত পূর্বক কথিত সাংবাদিক পলাশ সহ বিএনপির প্রেতাত্মা সরকার বিরোধী শক্তির মদদদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করত প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন।
মিরপুর প্রেসক্লাবের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ভূইয়া কামরুল ইসলাম সোহাগ বলেন,
তারা নিজেদের প্রোমোদ ভ্রমণের জন্য মিরপুরের বিভিন্ন ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা আদায় করে, এর প্রতিবাদ করায় সাংবাদিক বাবুল খানকে হেনেস্থা করা হয়েছে। এক পর্যায়ে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে দেশের সাংবাদিকদের আইকন, সদ্য দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীয় প্রেস মিনিষ্টার শাবান মাহমুদকে নিয়ে পলশের কথিত ছেলে প্রান্ত অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এর তীব্র প্রতিবাদ করে সাংবাদিক বাবুল খান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পলাশ গং বাবুল খানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে তাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে। এর তীব্র প্রতিবাদসহ কথিত সাংবাদিক পলাশ গং এর শাস্তি দাবি করছি।
সাংবাদিক বাবুল খান তার উপর ভিত্তিহীন অপপ্রচাকারীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকাস্থ গোপালগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সোহেল রানা, সাংবাদিক শহিদ, রাজু, বাহাউদ্দীন, পাপ্পু, এরশাদ, শেখ সোহেল রানা, আবুল কালাম আজাদ, জাহিদুর রহমান, মেহেদী হাসান, মাসুদ, রেজাউল, মাসুদ জিয়া, শফিকুর রহমানসহ প্রায় শতাধিক সংবাদকর্মী।


বিজ্ঞাপন