নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজধানীর আজিমপুরস্থ স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা পরিচালনায় নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন- ১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ হতে রোববার এ অভিযান পরিচালিত হয়। সরেজমিন অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক টিম। টিম তথ্য পায়, উল্লিখিত এতিমখানার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক এবং ২ জন শিক্ষক কর্তৃক বিদ্যালয় পরিচালনায় আগত সরকারী বরাদ্দ ও আর্থিক সহযোগিতা এতিমখানার কাজে ব্যবহার না করে আত্মসাত করা হয়েছে। দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম আরও জানতে পারে, উক্ত এতিমখানায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ প্রকৃত এতিম নয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট একজন শিক্ষক অসদুপায়ের মাধ্যমে তাদের ভুয়া পরিচয়ে ভর্তি হতে সাহায্য করেছেন, যে অনিয়মের ফলে প্রকৃত সুবিধাবঞ্চিত এতিমরা প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অভিযানকালে প্রাপ্ত উপরোল্লিখিত অনিয়মসমূহের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধানের সুপারিশপূর্বক প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযান পরিচালনাকারী টিম।
চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় বিদ্যুৎ বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণের মাধ্যমে সরকারি সম্পদের অপচয় এবং সরকারি বিদ্যুৎ অপব্যবহারের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ে বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদক হটলাইনে আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ হতে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে দুদক টিম আমিন কলোনি ফুটবল খেলার মাঠের পূর্ব ও পশ্চিম পার্শ্বে বেশ কিছু অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে, এমন অভিযোগের সত্যতা পায়। পরবর্তীতে এনফোর্সমেন্ট টিমের উপস্থিতিতে বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক বেশ কিছু অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং অবৈধ সংযোগসমূহ অপসারণে অভিযান অব্যাহত থাকবে মর্মে দুদক টিমকে নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়।