দেশ রক্ষায় মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিততে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অপরাধ সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি : দেশ বাঁচাতে ও দেশের যুবসমাজ রক্ষায় মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, ‘মাদক রুখতে না পারলে দেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে না। মাদক বন্ধের যে যুদ্ধে নেমেছি সেই যুদ্ধে জয়ী হতেই হবে।’ বুধবার দুপুরে কক্সবাজারের বিজিবি রিজিয়ন সদর দপ্তরের মাঠে গেল তিন বছরের উদ্ধাকৃত বিভিন্ন মাদক ধ্বংস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকের কারণে দেশের অর্থনীতি যেমন প্রভাবিত হয় তেমনি আমাদের নতুন প্রজন্ম ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যুব সমাজ না থাকলে এ দেশ আগাবে কি করে। তাই বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।’

এসময় সব আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতম হওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, বিজিবির যে তৎপরতা সেটি আরও উন্নত করে কঠোরভাবে জোরদার করা হবে। পাশাপাশি সব বাহিনী একত্রিত ভাবে মাদকের বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। মাদক রুকতে না পারলে দেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে না। মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

সরকারের স্বদিচ্ছা থাকা সত্বেও কেন মাদক পাচার বন্ধ হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিরা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে তথ্য সরবরাহ করে এক হয়ে কাজ করবে। সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তা জয়ী হয়েই ছাড়বো। সে লক্ষ্য আমরা কাজ করছি।

কক্সবাজার রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার সাজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে পুলিশের মহা পরিদর্শক ড. বেনজির আহমেদ, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গেল তিন বছরের (২০১৮-২০২০) কক্সবাজারের রামু সেক্টরের অভিযানে জব্দ করা হয় ১ কোটি ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার ৬২৫ পিস ইয়াবা, ৫ হাজার ৭৯৯ বোতল মদ, ৩৩ হাজার ৫৫৫ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৭৩৬ লিটার চোলাই মদ, ১৫.৭৩২ কেজি গাঁজা, ১৮ হাজার ৭৫০ পাতা সিডিল ট্যাবলেট ও ৫ হাজার পাতা ট্যাবলেটন। যার সর্বমোট মূল্য ৫৩৫ কোটি ৪ লাখ ৮১ হাজার ৬১২ টাকা।

এর মধ্যে, মালিকসহ আটক করা হয়েছে ৯১ লাখ ৬১ হাজার ৬০৭ পিস ইয়াবা, ৩ হাজার ৮৭৩ ক্যান বিয়ার, ১১৯ বোতল মদ, ৪২৭.৬ লিটার বাংলা মদ, এক কেজি গাঁজা, ৩৮১ বোতল ফেনসিডিল। এছাড়া মালিকবিহীন উদ্ধার করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৬৫৮ ক্যান বিয়ার, ৫ হাজার ৩৫ বোতল মদ, ২০০৫.৫ লিটার বাংলা মদ, ২৯.৭০৫ গ্রাম গাঁজা ও ১ হাজার ৫২৪ বোতল ফেনসিডিল।