নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার। রোববার (২৬ মে) সকালে গণভবনে জয়িতা ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গর্ভনরস এর বিশেষ সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি আরো বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে নারীর সম্পৃক্ততা জোরদারের পাশাপাশি পরিবারে নারীর অবস্থান সুদৃঢ় করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।
জয়িতা। শুধু নিছক একটি শব্দই নয়, এ যেন নারীর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। নারীর সফলতার গল্প। উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের মূর্ত প্রতীক।
দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে পুরুষের পাশাপাশি সমান গুরুত্বপূর্ণ নারীর ভূমিকাও। এই বাস্তবতায় ২০১১ সালের নভেম্বরে সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধায়নে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে জয়িতা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের নারী উদ্যোক্তাদের একই প্লাটফর্মে তুলে আনছে সংগঠনটি। ব্যবসা পরিচালনা ও পণ্য উৎপাদনে প্রয়োজনীয় জ্ঞান-দক্ষতা বিনিময়ের পাশাপাশি ক্ষেত্রবিশেষ পুঁজিরও জোগান দিয়ে নারীকে গড়ে তুলছে স্বাবলম্বী হিসেবে।
রোববার (২৬ মে) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপত্তিত্বে জয়িতা ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গর্ভনরস’এর বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার নারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি পরিবারে নারীর শক্ত অবস্থান তৈরিতেও সরকার সচেষ্ট।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হল আমরা দেশের জন্য কাজ করবো, মানুষের জন্য কাজ করবো। আর মানুষকে দিতে গিয়ে আমি এটাই মনে করেছি যে, আমরা সমাজকে কিছু দিতে গেলে নারী-পুরুষ উভয়কেই কিছু দিতে হবে। একদিক ঠিক করলে সেটা পঙ্গুই থাকবে, কখনো উন্নতি হতে পারে না।
অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সহায়তায় সরকারের নানা কর্মসূচিও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, সঠিক পরিকল্পনায় পিছিয়ে পড়াদেরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে।
তিনি আরো বলেন, মাতৃত্বকালীন ভাতা, মায়েদের ভাতা এগুলো এ কারণেই করেছি যে একটা নারী যখন একা হয়ে যায় তখন তার সন্তানের দায়িত্ব তার ওপরেই বর্তায়।
অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা দূর হবে বলে প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।