দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের অভিযান

অপরাধ আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিনিধি : দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সারাদেশে ১১টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।


বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সহকারী পরিচালক ডা: মো: আতিউর রহমান-এর বিরুদ্ধ্বে সরকারি হাঁস-মুরগি খামারের গাছ ও পুরাতন মালামাল টেন্ডার ছাড়া বিক্রয়পূর্বক বিপুল পরিমান অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, সজেকা, চট্টগ্রাম-২-এর সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাস-এর নেতৃত্বে ০৪-০৩-২০২১ খ্রি. একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা উদঘাটনের লক্ষ্যে দুদক টিম সরজমিনে উক্ত অফিস পরিদর্শনপূর্বক প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ, কাগজপত্র পরীক্ষা ও তথ্যানুসন্ধান করেছে। উক্ত দপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত আরও তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে কিনা এবং তা হয়ে থাকলে এর সাথে জড়িতদের বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র ও তথ্য প্রমাণসমূহ পরীক্ষা করে বিস্তারিত পর্যালোচনা পূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।

হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-এর ডিজিএম মোঃ আবুল কাশেম এবং চুনারঘাট জোনাল অফিসের ওয়্যারিং পরিদর্শক মোঃ আসাদউল্লাহ-এর বিরুদ্ধে নতুন সংযোগ প্রদান, মিটার বরাদ্দ, ওয়্যারিং রিপোর্ট প্রদানসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদানের সময় অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও ঘুষ দাবীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয় থেকে অপর একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সরজমিনে পরিদর্শনের উক্ত দপ্তর হতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছে দুদক টিম। এ ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগসমূহ বিস্তারিত পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।

এছাড়া, সার্ভেয়ার-এর বিরুদ্ধে গ্রাহকের জমি অধিগ্রহণের নামে ভুয়া দলিল সৃজন করে অর্থ উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে গ্রাহকের জমি খারিজ, প্রভাবশালী কর্তৃক অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন, অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন ও বন্যপ্রাণী শিকারসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান বন সংরক্ষক, বন অধিদপ্তর; বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম; মহাপরিচালক, পানি উন্নয়ন বোর্ড; পরিচালক, নিউরো সাইন্স হাসপাতাল; বিভাগীয় পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর-চট্টগ্রাম; জেলা প্রশাসক, নরসিংদী-রংপুর-সিলেট; উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দুর্গাপুর-নেত্রকোণা-কে বিষয়সমূহ অবহিত করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের মাধ্যমে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।