পুলিশে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের চিন্তা: আইজিপি

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পুলিশের ওপর নির্ভরতা অনেক বেশি। জেন্ডার পুলিশিংয়ের ক্ষেত্রে গত ১০-১২ বছরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে যে সিভিল সার্ভিস সিস্টেম তাতে এ যুগের পুলিশিংয়ের চাহিদা পূরণ করা কঠিন। তাই পুলিশে সিনিয়র কর্মকর্তা পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের চিন্তা চলছে। সোমবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিওএন) আয়োজিত ‘জেন্ডার রেসপন্সিভ পুলিশিং: অ্যান এপ্রোচ অব বাংলাদেশ পুলিশ অ্যান্ড রোল অব বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক(বিপিডব্লিওএন)’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন আইজিপি।
এতে সভাপতিত্ব করেন বিপিডব্লিওএন’র সভাপতি ও এসবির ডিআইজি আমেনা বেগম।
অনুষ্ঠানে আইজিপি বলেন, উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। বিশেষ করে গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে। আমরা এগিয়েছি অনেক দূর। তবে এখনও যেতে হবে বহুদূর। তিনি বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করছি। কারণ নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে অর্থনীতিতে। দারিদ্র্যের শেকল ভাঙার কারিগর হচ্ছেন নারীরা।
বাংলাদেশ পুলিশে উইমেন পুলিশিং বাড়ছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, জাপান পুলিশে মাত্র ৭ শতাংশ নারী। আমাদের ৭.৯ শতাংশ। আমরা টার্গেট করেছিলাম ২০১৫ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশে পৌছবো। সেটা পারিনি। আমি বিডিডব্লিওএনকে পরামর্শ দিয়েছি স্কুল-কলেজে গিয়ে পুলিশে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রেজেন্টেশন দিতে।
নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে একেক সময় একেক ধারণার প্রচার পেয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, আগে স্কুল বা ব্যাংকে নারীরা কাজ করতো। এমন ধারণা ভাংতে শুরু করেছে। এখন কোথায় নেই পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশ এক্ষেত্রে পাইওনিয়র। অনেকে মনে করেন পুলিশ সিকিউরড জব নয়, এই ধারণা আমাদের ভাঙতে হবে।
আইজিপি বলেন, পুলিশিং কিভাবে আধুনিক, মানবিক করা যায় সেটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। তবে সমাজের পরিবর্তনের সাথে সাথেই পুলিশকে এগিয়ে নিতে হবে।
পুলিশ প্রধান বলেন, আমরা অন্য কোনো দেশ থেকে পুলিশিং সিস্টেম কাট কপি করতে চাই না। কারণ আমাদের দেশের অবস্থা, সমাজব্যবস্থা, ঐতিহ্য সম্পূর্ণ আলাদা। যেখানে অনেক তাপ সেখানে অনেক আলো আছে। লাইট বাড়াতে হলে তাপ বাড়াতে হবে। আগে বিমানবন্দরে গেলেই হয়রানি হতে হতো। সেখানকার চিত্র বদলে গেছে। সেখানে পুলিশ আন্তর্জাতিক মানদ-ে খুব ভালো কাজ করছে। জেন্ডার পুলিশিংয়ের ক্ষেত্রে গত ১০-১২ বছরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা অনেক আগেই উইমেন সাপোর্ট সেন্টার চালু করেছি। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার চালু করেছি। শুধু ভিকটিম নারী না তাদের বাচ্চাদেরও দেখভাল করছে পুলিশ।
কোয়ালিটি পুলিশিংয়ের ক্ষেত্রে সংখ্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দরকার কোয়ালিটি পুলিশিং। আমরা চেষ্টা করবো ৭ শতাংশ থেকে পুলিশে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য। আমরা পুলিশে যোগদানের পলিসি পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। সেটা সম্ভব হলে অনেক পরিবর্তন আসবে।


বিজ্ঞাপন