বেনাপোল প্রতিবেদক : ঈদের ছুটি শেষে রোববার খুলেছে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল; তবে বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। রোববার সকাল থেকে বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে বলে বেনাপোল শুল্কভবনের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান। তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নয় দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হলেও ঢিমেতালে চলছে। তবে ২/১ দিনের মধ্যে পুরোদমে কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, দেশের ৭৫ ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে। আমদানিকারকেরা গ্রামে ঈদ করতে যাওয়ায় এখনো ঢাকায় তাদের অফিস খোলেনি। তাই বন্দর থেকে পণ্য খালাসও তেমন নেওয়া হচ্ছে না। পুরোপুরি কাজ শুরু হতে আগামি শনি-গতকাল রোববার লেগে যাবে বলে তিনি মনে করেন। এদিকে ঈদের ছুটিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে টানা নয়দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় ওপারের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় তীব্র ট্রাকজটের সৃষ্টি হয়েছে। বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় শত শত পণ্যবাহী ট্রাক বন্দর এলাকা, বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং ও বনগাঁ পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান। এদিকে বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি কলিম উল্যা কলি বলছেন, প্রচ- গরমের কারণে হ্যান্ডেলিং শ্রমিকরা স্বস্তিতে কাজ করতে পারছেন না। শ্রমিকদের র সংগঠন বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি রাজু উদ্দিন বলেন, বৃষ্টির দেখা নেই, তাই প্রচন্ড তাপদাহে শ্রমিকরা কাজ এগিয়ে নিতে পারছে না। বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন তরফদার বলেন, বন্দরে পণ্যজট কমাতে দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রচন্ড গরমে বন্দর অভ্যন্তরে কিংবা ওপেন ইয়ার্ডে হ্যান্ডেলিং শ্রমিকরা কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।