নিজস্ব প্রতিনিধি : ১৯/০৩/২০২১ ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ১৯:১০ ঘটিকায় টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কর্তৃক তুরাগ নদীর শাখা নদীর কিনারায় পানিতে চারদিকে হাত-পা ছড়ানো, পরনে নীল রঙের জিন্স প্যান্ট এবং নীল রঙের টি শার্ট পরিহিত ভাসমান অবস্থায় একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানার মামলা নম্বর ২৫ তারিখ ২০/০৩/২০২১ সেকশন ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
মামলাটি তদন্ত কালে ভিকটিমের পরিচয় নির্নয় করার জন্য গাজীপুর মেট্রোপলিটনসহ আশপাশের জেলাগুলোতে ভিকটিমের ছবিসহ বেতার বার্তা প্রেরণ করা হয়। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকটিমের ছবি ছড়িয়ে দেয়া হয়। রেলস্টেশন বাস স্টেশন সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোতে জনসমাগমের স্থানে ভিকটিমের ছবি প্রিন্ট করে টানিয়ে দেয়া হয়। তথ্য পাওয়া যায যে, ডিএমপির তুরাগ থানায় একটা নিখোঁজ জিডি হয়েছে যার নম্বর ৯১১ তারিখ ১৮/০৩/২০২১। উক্ত হারানো জিডির সূত্র ধরে টঙ্গী পশ্চিম থানার একটি টিম ভিকটিমের অস্থায়ী ঠিকানা কামারপাড়ায় উপস্থিত হয়ে ভিকটিমের বাবা-মাকে ছবি প্রদর্শন করে, ভিকটিমের জামা কাপড় দেখিয়ে, ভিকটিম যেখান থেকে মাথার চুল কাটে ওই নাপিত এর মাধ্যমে এবং বাবা-মায়ের মাধ্যমে ভিকটিমকে সনাক্ত করা হয়। জানা যায় ভিকটিমের নাম ইসমাইল সরকার(১৪) পিতা- মোঃ নূর নবী সরকার, মাতা -মোসাম্মৎ মাসুদা বেগম ,গ্রাম -ধানঘরা, থানা রায়গঞ্জ ,জেলা সিরাজগঞ্জ। সে কামারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।
টঙ্গী পশ্চিম থানার একটি তদন্ত দল ভিকটিমের বাবা-মায়ের নিকট থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামি মোহাম্মদ আতাউল হোসেন(৩৫) পিতা – মৃত ইমাম হোসেন ,গ্রাম- রামনগর, থানা -সাঘাটা জেলা গাইবান্ধা বর্তমানে সাং কামারপাড়া, থানা- তুরাগ ডিএমপি -ঢাকা কে ১০/০৪/২০২১ তারিখ কামারপাড়া হতে গ্রেফতার করেন। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আছে মর্মে স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আতাউল সহ আরও দুইজন ভিকটিমকে তার বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ করে। ভিক্টিম এর বাবার কাছে তারা পাঁচ লক্ষ টাকা দাবী করে। টাকা না পেয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ইসমাইল হোসেন কে হত্যা করে তুরাগ নদীতে লাশ ফেলে দেয়।