আজকের দেশ রিপোর্ট : বর্তমান ‘বাংলাদেশ ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথ প্রাকটিশনার্স অধ্যাদেশ দ্রুত সংশোধন পূর্বক আইনে পরিণত করার বিষয় উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিৎ বলে সংশ্লিষ্ট ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এর মালিক ও এ ব্যবসার সাথে জড়িত একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
সমার্থিত ওই সুত্রটির মতে, ইউনানি, আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক-এর জন্য একটি স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠন করাসহ ডিজিএইচএস ও বোর্ডের পরিবর্তে এ কাউন্সিলের অধীনে স্নাতক ও ডিপ্লোমা সকল ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নিবন্ধন-এর উদ্যোগ গ্রহণ করা । ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর ডিগ্রিধারী ব্যক্তিত্ব (বোটানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করা) নিয়োগ করা।
দেশের সকল ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর, ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্যসহ পূর্ণাঙ্গ অনলাইন ডেটাবেজ তৈরি করা ।
স্বাস্থ্য সেবার সকল স্তরে মেডিকেল কলেজ, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সকল সরকারি হাসপাতালে ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের পদায়নসহ স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের সুযোগ তৈরি করা।
বেসরকারি পর্যায়ে স্নাতক মানের ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক কলেজ স্থাপনের নীতিমালায় ৩০ শয্যার হাসপাতাল থাকার বিধান রয়েছে। এ ধরণের হাসপাতাল স্থাপন ও নিবন্ধন-এর নীতিমালা প্রণয়ন ও হাসপাতালের নিবন্ধন প্রদান।
গবেষণার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্নাতক মানের ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে গবেষণাগার স্থাপন ও প্রয়োজনীয় সরকারি তহবিল প্রদান।
দেশের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের উচ্চতর ডিগ্রি (এমডি, এমএস ইত্যাদি) অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করা।
বিদেশে ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক শিক্ষক ও চিকিৎসকদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ ও প্রশিক্ষণের জন্য যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত সুযোগ তৈরি করা।
ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মান উন্নয়নসহ চিকিৎসার নামে সকল অপচিকিৎসা বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ এবং চিকিৎসকদের আচরণবিধি মেনে চলার ব্যবস্থা গ্রহণ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরনে এই বিজ্ঞানের উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য সরকার কর্তৃক বাজেট বরাদ্দের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন।
ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধ উৎপাদনকারী ইউনানী আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানি গুলোকে ফর্মুলা অনুযায়ী ঔষধ উৎপাদনে বাধ্য করা। তা না হলে অদুর ভবিষৎতে ট্রেডিশনাল মেডিসিনের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাড়াবে চিহ্নিত বিতর্কিত ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। চিহ্নিত এসব বিতর্কিত ঔষধ প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক পরিদর্শনে রয়েছে যথেষ্ট ঘাপলা।
অপরদিকে মহাখালীর ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির দূর্নীতিবাজ একটি সিন্ডিকেটের দূর্নীতির কারনে নকল ভেজাল ঔষধ কোম্পানিরা আরও বেপরোয়া। এই বেপরোয়া হওয়ার কারণ ও আছে যথেষ্ট। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন জেলার দায়িত্বরত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্তৃক প্রেরিত ঔষধের নমুনা পরিক্ষার রিপোর্ট যথাসময়ে দেওয়া হয় না।
কোন কোন নমুনা পরিক্ষার রিপোর্ট মাত্র ১০ দিনে হয়ে যায় আবার কোন কোন নমুনা পরিক্ষার রিপোর্ট ৬ মাস ১ বছরে ও পাওয়া যায় না। আবার ক্ষেত্রবিশেষ বিতর্কিত ঔষধ হওয়া সত্ত্বেও তার রিপোর্ট -ই মেলে না। বিশেষ করে চিহ্নিত বিতর্কিত ঔষধ কোম্পানির ঔষধ সমুহ ( নমুনার পরিক্ষার রিপোর্ট ) সেক্স ড্রাগস এবং ভিটামিন সিরাপ ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল।
এসব বিতর্কিত ঔষধ কোম্পানির বিতর্কিত ঔষধ সমুহ একাধিক বার নিম্নমানের ঔষধ বিবেচিত হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র কয়েকজন কর্মকর্তার দূর্নীতির কারণে পার পেয়ে যাচ্ছে বিতর্কিত এসব ঔষধ কোম্পানি।
অবশ্য এজন্য কর্মকর্তা সম্মানী হিসেবে বিদেশে ট্যুর, বিলাল বহুল গাড়ি এমনকি নান্দনিক চরিত্রের শারাব শবাব ও কাবাব পর্যন্ত পেয়ে থাকেন।
করোনা সংক্রামণের প্রথম ঢেউয়ের সময় আলোচিত নকল এন – ৯৫ মাস্ক জালিয়াতির হোতাদের মধ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের জনৈক পরিচালক এন – ৯৫ আমদানি নীতিমালা তৈরিতে জড়িত ছিলেন। তবে আলোচিত ঠিকাদার ও জনৈক এমপ্যাথিক ঔষধ কোম্পানির মালিকের জেল হলে ও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান সুবিধাভোগী ওই ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক।
সঙত কারনেই এসব তথ্য তুলে ধরা হলো কারণ এইসব কর্মকর্তা কর্তৃক নকল ভেজাল ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, যথাযথ ব্যাবস্থা এবং ঔষধ শিল্পের উন্নয়ন ঘটানো কি আদৌ সম্ভব?