গুগলের ২০০ প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ারের মধ্যে বাংলাদেশি জাহিদ সাবুর একজন

আন্তর্জাতিক জাতীয়

হাসিনা আফরোজ হাসি : গুগলে প্রায় ১ লাখ লোক কাজ করে এই ১ লাখ লোকের মধ্যে মাত্র ২০০ জন আছে প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার। এই ২০০ জন প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ারের মধ্যে একমাত্র প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন জাহিদ সাবুর নামে এক ব্যক্তি।


বিজ্ঞাপন

ওনার এই সাফল্যের পেছনে কি রহস্য ছিল সেটা আমি জানিনা,তবে কি কি ছিল না সেটা আমি অনুমান করতে পারি।

ওনার মাথায় কোন দিন GPA:5 ছিল না,GPA:5 না পেলে আমার জীবন বৃথা এই মূলমন্ত্র নিয়ে বেড়ে উঠেনি। তার আশে পাশে এমন কোনো আন্টি ছিল না যে জাহিদ সাবুরের মাকে গিয়ে বলেনি- আপা আমার মেয়েতো GPA:5 পেয়েছে,আপনার ছেলে কি পেয়েছে?

বাংলাদেশের সাফল্যের এক মাত্র মানদন্ড হিসেবে ধরা হয় বিসিএস ক্যাডার।

বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন কোন দিনই ছিল না তার।
রবীন্দ্রনাথের দাদার নাম কি? কত সালে জন্ম গ্রহন করেছিলেন? উগান্ডার রাজধানীর নাম কি? সবচেয়ে গভীরতম সমুদ্র খাদ এর নাম ও উচ্চতা কত? জাহিদ সাহেব এই প্রশ্ন গুলো যদি মুখস্ত করতেন এবং বিসিএস দিতেন তাহলে হয়তো বিসিএসে টিকেও যেতে পারতেন।তাহলে কি আমরা কোন দিন শুনতে পারতাম? গুগলে বাংলাদেশী একজন প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার আছে।
.
আমাদের স্বপ্নের দৌড় শুধু GPA:5 ও বিসিএস ক্যাডার পর্যন্ত। মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে এ দেশে লাখ লাখ জিপিএ ফাইভ ও বিসিএস বের হয়। একজন বিজ্ঞানী,একজন গবেষক বের হয়না,আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও আইটি সেক্টরে হেভিওয়েট পদে কোন বাংলাদেশী পাওয়া যায় না।

QS ASIA UNIVERSITY RANKING ২০১৯ সালের এশিয়ার সেরা ৪০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় নেই। জাপানের আছে ১০৩ টা,চীনের আছে ৭২ টা। ৫০ % লোক খোলা জায়গায় পায়খানা করে এটা নিয়ে ট্রল করা সেই ভারতের আছে ৪৯ টা। পাকিস্তানের আছে ১০ টা। শ্রীলংকা ও নেপালের মত দেশগুলোর ইউনিভার্সিটি আছে এই তালিকায় অথচ আমাদের কোন ইউনিভার্সিটি নেই।

আমাদের আছে GPA:5 ,বিসিএস ক্যাডার ও ১০ টাকার চা-ছামুচা- সিঙ্গারা।

বর্তমান পড়াশুনা র প্রেক্ষাপট, আজ চাকরির জন্য পড়াশুনা তাই তো গাধা র মত মুখুস্থ আর পরীক্ষার হলে গিয়ে উদগীরন করি, শেষ! আমাদের পড়াশুনা চলে আসে- রহিম, করিম, শফিক GPA:5 তুমি কত পেয়েছে?

স্যারদের এই GPA:5, মা বাবা আত্নীয়স্বজন পারা প্রতিবেশী সকলের মুখে গান একটা ই রহিম GPA:5 পাইছে তুই কত পাইছো? এই হচ্ছে GPA:5।

তাই তো আজ শূন্যের খাতায় বাংলাদেশ এর তালিকা। যদি বড় বড় বিজ্ঞানী কিংবা গবেষক দের দিকে তাকানো হয় দেখা যায় তারা বইয়ের মুখস্থ পড়া নিয়া পড়ে থাকতো না, তারা বাহিরের জগৎটাকে ঘুরে ফিরে দেখতো। তাই আজ তারা সাফল্যলাভ করেছে।