গাড়ি চুরি ও ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা গাড়ি চুরি ও ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ।


বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারকৃতদের নাম- ১। মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩৩), ২। মোঃ বাহাদুর ইসলাম (৩৫), ৩। মোঃ মশিউর রহমান (৩৭), ৪। মোঃ শহিদুল ইসলাম (২৬), ৫। মোঃ তরিকুল ইসলাম (৩৫) ও ৬। তাফসির উদ্দিন (২৫)।


বিজ্ঞাপন

২১ মে,২০২১ (শুক্রবার) হতে ঢাকা, গাজীপুর, যশোর, নরসিংদী ও গোপালগঞ্জ জেলায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ী চুরি প্রতিরোধ টিম। এ সময় তাদের হেফাজত হতে চোরাইকৃত ০২ টি প্রাইভেটকার, ০৮ টি মোটরসাইকেল ও ০৪ টি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।

গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মধুসূদন দাস জানান, কোতয়ালী থানা ও ধানমন্ডি থানায় চুরির মামলা তদন্তকালে এই চোর ও ছিনতাই চক্রের সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ও বাহাদুরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে কেরাণীগঞ্জ হতে ০১ টি চোরাই প্রোবক্স প্রাইভেটকার ও ০১ টি মোটরসাইকেল এবং গাজীপুর জেলা হতে ০১ টি প্রোবক্স প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। চলমান অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্য মতে যশোর জেলা হতে এ চক্রের সদস্য মশিউর, শহিদুল ও তরিকুলকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃতদের চোরাই মালামালের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মালামালসমূহ গোপালগঞ্জ জেলায় আছে মর্মে স্বীকার করে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ জেলা হতে তাফসিরকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে গোপালগঞ্জ জেলা হতে ৭টি মোটরসাইকেল ও নরসিংদী জেলা হতে ৪টি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সংক্রান্তে তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃতরা যাত্রী বেশে গাড়ীতে উঠে সুবিধাজনক স্থানে গিয়ে সুকৌশলে ড্রাইভারকে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে অথবা জোরপূর্বক গাড়ী ছিনিয়ে নেয়। কখনো আবার পার্কিং করা গাড়ী মাস্টার কি দিয়ে খুলে চুরি করে। প্রাইভেটকার চুরির পরে এগুলো আবার মটরসাইকেল ও সিএনজি চুরির জন্য ব্যবহার করত। মোটরসাইকেল চুরি করার পর তারা দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় পাঠিয়ে দেয় বিধায় উদ্ধার করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায় মর্মে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান। গ্রেফতারকৃতদের কোতয়ালী ও ধানমন্ডি থানায় রুজুকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।