আজকের দেশ রিপোর্ট : ফুফু! খুব অবহেলিত একটি শব্দ। ক’জন ভাইপো আছেন ফুফুর খবর রাখেন?খালার খবর যতোটা রাখা হয় ফুফুর খবর ততোটা রাখা হয়না।
বাবা-মা’র ইন্তেকালের পর নারীরা বাপের বাড়ীর কথা অনিচ্ছা সত্ত্বেও ভুলে যেতে থাকেন।শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত উঠোন,গাছের লিচু,পাকা আম আর পুকুর পাড়ের নারিকেল গাছ সব গুলো কেমন যেনো পর হতে শুরু করে।ভাইদের ইন্তেকালের পর সবকিছুই একেবারে স্মৃতি হয়ে যায়।
ফুফুরা আমাদের রক্ত সম্পর্কের স্বজন।তাদের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা কোন মু’মিনের জন্য মোটেও কাম্যনয়। শরীয়তে যেসকল স্বজনের সাথে সম্পর্ক রাখতে বলা হয়েছে তাদের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন কারিদের কথা কুরআন মাজীদে উঠে এসেছে এভাবে তাদের জন্য রয়েছে লা’নত ও অভিসম্পাত এবং তাদের জন্যই রয়েছে মন্দ আবাস”। জুবায়ের ইবন মুত্বইম থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী জান্নাতে যাবে না”।[বুখারী-মুসলিম] ফুফুদের ভুলে যাওয়া কোন মু’মিনের জন্য মোটেও উচিৎ নয়।
ছোট ছোট বাচ্ছাদের নিয়ে ফুফুর বাড়ী বেড়াতে যাবেন।হাতে করে গাছের ফল,পুকুরের মাছ,গাভীর দুধ নিয়ে যাবেন।এই শিশুরা আপনার কাছ থেকে শিখবে।
তারাও তাদের ফুফুকে যত্ন নিবে।ফুফুরা ভাইপোদের জন্য চকলেট কিনে রাখুন বোনের সন্তানের মতো এদেরকেও কাছে টানুন।
রক্তের বন্ধন অটুট রাখার চেষ্টা দু’পক্ষই সমান তালে করে যেতে হয়।আল্লাহ আমাদের সামাজিক বন্ধনকে মজবুত করুন।