নিজস্ব প্রতিনিধি : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, দেশবিরোধীদের নির্মূল করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, দেশবিরোধী কারো সঙ্গে আমাদের ঐক্য হতে পারেনা। তাহলে ৩০ লাখ শহীদকে অপমান করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুর জেলার বিরলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে করা বাগানের লভ্যাংশ বিতরণ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি করছে। যারা করোনার ভ্যাকসিন না নিতে জনগণকে ভয় দেখিয়েছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে। এখন আবার তারা ভ্যাকসিনের জন্য কথা বলে। তারা বলেছিলো ভারতের ভ্যাকসিন নিলে নাকি শরীরে বিভিন্ন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে। মহিলাদের বলা হয়েছিলো এ ভ্যাকসিন নিলে কখনো ছেলে মেয়ের মা হতে পারবে না। পুরুষদের বলেছেন আরেক ধরনের কথাবার্তা। এসব কথাবার্তা বলে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তারাই এখন ভ্যাকসিনের জন্য উন্মাদ হয়ে গেছে। ভ্যাকসিন ভ্যাকসিন করতেছে। এরা কখনো বাংলাদেশের ভালো চায়না।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চীন-রাশিয়ার সঙ্গে যেন ভ্যাকসিন চুক্তি না হয় সেজন্য বিএনপি তৎপর ছিল। সেজন্য তারা গুপ্তচর সেট করেছিল। গোপন নথিগুলো যেন উন্মুক্ত হয়ে যায়, বাংলাদেশ যেন ভ্যাকসিন না পায়। সেজন্য এসব করা হয়েছে। কিন্তু সরকার দক্ষতার সঙ্গে শুধু মোকাবিলা নয়; বাংলাদেশকে চরম বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছে। সেই নথি যদি প্রকাশ হয়ে যেতো তাহলে বাংলাদেশ আজকে চায়না ও রাশিয়ার কাছ থেকে ভ্যাকসিন পেতোনা। ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যেতো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী বিধায় আজকে আমরা ফিলিস্তিনকে সাহায্য করছি। শ্রীলঙ্কাকে অর্থ সহায়তা দিচ্ছি। এ সময় বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে সবাইকে গাছের চারা রোপণ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইসলামের উন্নয়নে যা করার আওয়ামী লীগই করেছে। জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া ধর্মকে ব্যবহার করেছে শুধু ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য। মুক্তিযুদ্ধের স্পিরিটকে নষ্ট করার জন্য জিয়াউর রহমান ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। সর্বশেষ আপনারা দেখেছেন ধর্মের নামে কীভাবে উসকানি দিয়ে সারাদেশে তান্ডব চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ধর্মকে সঠিক ধারায় রাখার জন্য। যেহেতু ৯০ ভাগ মানুষ আমাদের মুসলমান; সঠিক ইসলাম যেনো মানুষ জানতে পারে। ১৯৭১ সালে ধর্মকে ব্যবহার করে পাকিস্তানীরা আমাদের মুক্তির সংগ্রামকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিলো। আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে ব্যর্থ করতে চেয়েছিলো। বাংলাদেশের জনগণ সেটা গ্রহণ করে নাই।
বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত রহমানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জাকির হোসেনসহ স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাগণ।
পরে প্রতিমন্ত্রী বিরলে সারংগাই উচ্চ বিদ্যালয়ে চারতলা ভিতবিশিষ্ট একতলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।