কেরানীগঞ্জে মামলার আসামি গ্রেফতারে বিলম্ব
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার কেরানীগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়িতে ঢুকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ প্রাণনাশের উদ্দেশে বসতবাড়ি ভাঙচুর ও বাড়িতে অবস্থানরত গৃহবধূসহ বাড়িতে গৃহকর্তাকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। গত ২৫শে এপ্রিল তারানগর ইউনিয়নের কলমার চর গ্রামের বাসিন্দা এরশাদ মিয়া ও কাকলি আক্তার দম্পতির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ৭ই মে পাঁচ আসামির নাম উল্লেখ করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় (মামলা নম্বর ১৪)। কাকলির করা মামলায় এখন পর্যন্ত আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় চরম আতঙ্কে ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে একপ্রকার ঘরবন্দী হয়ে দিনযাপন করছে পরিবারটি।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২৫শে এপ্রিল মধ্যরাতে এরশাদ মিয়ার পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা আকবর, রিপন, মুক্তার, মমতা, ফারজানা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে। এরশাদ মিয়া ও তার স্ত্রী এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে পরবর্তীতে আরো বেশ কয়েকজনসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়িতে হামলা চালায়। আকবর এরশাদের গলা চেপে ধরে হত্যা করতে চাইলে তার স্ত্রী কাকলি বাঁধা দেয়ায় তাকে এবং এরশাদকে বেধড়ক মারধর করে। তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোক সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করলে আসামিরা পরে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে কাকলির ভাই এসে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসার পর কাকলি বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী কাকলি বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় আমাদের দুর্বল পেয়ে আমাকে ও আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে আকবর বাহিনী। ঘটনার পরপর স্থানীয় লোকজন এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করলে এখন পর্যন্ত কোন সুবিচার পাইনি। উল্টো মামলা উঠিয়ে না নিলে আবারও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে আসামিরা। এ ঘটনায় তিনি স্থানীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করছেন।
স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, মামলার আসামি আকবর বাহিনী’র আকবর একজন মাদক ব্যবসায়ী। কিছুদিন আগেও তার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে মদ তৈরির উপকরণ পুলিশ জব্দ করেছে।
সূত্রে জানা যায়, এ বিষয় তদন্তকারী অফিসার এসআই খায়রুজ্জামান বলেন, মামলার তদন্তভার আমার ওপর দেয়ার পরপরই আমি আসামি গ্রেফতারের জন্য কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেছি, কিন্তু আসামিরা পলাতক থাকায় তাদেরকে গ্রেফতার করতে পারিনি। পরবর্তীতে তারা আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে এখন জামিনে আছে। মামলার তদন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, তদন্ত প্রতিবেদন অল্পসময়ের মধ্যেই আদালতে দাখিল করা হবে। মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে এক নম্বর আসামি আকবরের এখনো জামিন হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামিনের কাগজ আমার কাছে আছে তবে আকবরের জামিন হয়েছে কি না আমি পুরোপুরি নিশ্চিত না। যদি আকবরের জামিন না হয়ে থাকে তবে আকবরকে গ্রেফতারের জন্য আমরা অভিযান পরিচালনা করব।