নড়াইল সংবাদদাতা : এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাংখারচর গ্রামে বাড়িঘর ভাংচুর এবং টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রাত ১২টার দিকে পাংখারচর গ্রামের বুলবুল কাজী গ্রুপের পাঁচটি বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন ব্যাপক ভাংচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
বুলবুল কাজীসহ তার লোকজন জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষ লিচু কাজীর লোকজন রাতের আধারে তাদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ হামলায় পাঁচটি করে ফ্রিজ, টেলিভিশন ও ড্রেসিংটেবিল, চারটি শোকেস, দু’টি করে আলমারি ও সোফাসেট ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়া বুলবুল কাজীর ঘর থেকে দুই লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালংকার, লুলু কাজীর ঘর থেকে ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং চার ভরি স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে।
এছাড়া ঘরের আসবাবপত্র, রান্নাঘর, বাথরুম, চুলা, জমির দলিলপত্র, বৈদ্যুতিক মিটার, টিউবওয়েল, মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মালামালের ক্ষতি করা হয়েছে।
তবে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বুলবুল কাজীর লোকজন তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের পাংখারচর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বুলবুল কাজী ও লিচু কাজী গ্রুপের লোকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছে।
এই সংঘাত মেটাতে গত ১৮ মে বিকেলে ওই এলাকায় যান নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মতুর্জা। দুইপক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে এলাকার দ্ব›দ্ব-সংঘাত নিয়ে কড়া হুশিয়ারি দেন তিনি। মাশরাফির সেই বক্তব্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর মাত্র ১৩ দিনের ব্যবধানে নড়াইলের পাংখারচর এলাকায় আবার বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটল।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা স্যারের উপস্থিতিতে আমরা পাংখারচর গ্রামের দ্বন্দ্ব-সংঘাত মেটাতে চেষ্টা করি। তবুও দুইপক্ষের মধ্যে বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সোমবার দুপুর পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।