ইন্টারন্যাশনাল কলিং কার্ড পাচারচক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার

অপরাধ

নিজাম উদ্দিন : র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, খুনী, ধর্ষক, দেশদ্রোহী, সাইবার অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। এছাড়াও র‌্যাব ভিওআইপি ও ইন্টারন্যাশনাল কলিংকার্ড ব্যবসার মাধ্যমে সরকার তথা দেশের সাথে প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র‌্যাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র‌্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রসংশিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-২ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, আন্তর্জাতিক কলিং কার্ড পাচার চক্রের কিছু সদস্য প্রাইভেটকার যোগে বিপুল পরিমান ইন্টারন্যাশনাল কলিং কার্ড (স্ক্র্যাচ কার্ড) নিয়ে রাজধানীর নিউ মার্কেট থানাধীন নীলক্ষেত মিরপুর রোড দিয়ে গাবতলী হয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্য যাচ্ছে। প্রাপ্ত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে র‌্যাব-২ এর আভিযানিক দল ০৪/০৬/২০২১ তারিখ ৭:০০ ঘটিকায় রাজধানীর নিউ মার্কেট থানাধীন, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এলাকায় বিশেষ চেকপোষ্ট স্থাপন করে ইন্টারন্যাশনাল কলিং কার্ড (স্ক্র্যাচ কার্ড) পাচার চক্রের সদস্য ১। মোঃ সাকিল (২৬), পিতা- নুরুল আমিন পাটোয়ারী, ২। মোঃ নুরুল আলম সুমন (৩৩), পিতা-মৃত নুরুল হক ৩। মোঃ আবুল হোসেন (৩১) পিতা- মৃত আবুল খায়ের ভুইয়া’কে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের নিকট হতে আনুমানিক ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের বিভিন্ন দেশের কলিং কার্ড উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল কলিং কার্ড বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিলো। গ্রেফতারকৃত আসামীরা উদ্ধারকৃত ইন্টারন্যাশনাল কলিং কার্ড(স্ক্র্যাচ কার্ড) এর কোন প্রকার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই। আসামীদের থেকে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাচাই করে ভবিষ্যতে র‌্যাব-২ এ ধরনের অভিযান অব্যহত রাখবে।
এবিষয় র‍্যাবের উর্ধতন কর্মকর্তা আজকের দেশ নিউজ কে বলেন আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


বিজ্ঞাপন