করোনা মোকাবিলায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে মাগুরা যুবলীগ

রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাম্প্রতিক সময়ে মাগুরায় বৈশ্বিক মহামারি করোনা ব্যপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় মাগুরাবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে সরকারী নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে শহরব্যাপী জনসমাগমের স্থান ও শপিংমল গুলোতে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন ও অসচেতনদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করছেন এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর প্রতিষ্ঠিত, জেলা আওয়ামী যুবলীগ আহবায়ক মো. ফজলুর রহমান পরিচালিত মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী যুবলীগ হটলাইন টীমের সদস্যরা।


বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য যে, গত বছর করোনা ভাই’রাসের সংক্রমণ সমগ্র বিশ্বের ন্যায় ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে।


বিজ্ঞাপন

করো’না মোকাবেলায় ২০২০ সালের ২৬শে মা’র্চ লকডাউন ঘোষণা করা হলে মানুষ দিশেহারা হয়ে যায়।

দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশে, যুবলীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন নিখিল এর আহবানে মাগুরার গণমানুষের প্রিয়নেতা এ্যাড সাইফুজ্জামান শিখর এর সার্বিক সহযোগীতায় সরকার ও প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছায় শ্রম দিতে আগ্রহী যুবলীগ কর্মীদের নিয়ে হটলাইন টীম গঠন করেন জেলা আওয়ামী যুবলীগ আহবায়ক ফজলুর_রহমান এবং জেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাকী বিল্লাহ সান্টু।

করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই মাগুরা হটলাইন টীম প্রতিদিন সকালে জেলার বিভিন্ন স্থানে জীবানুনাশক স্প্রে ছেটানোর মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু করে বিকাল পর্যন্ত হ্যান্ড মাইকে শহর থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে সমগ্র মাগুরার হাট-বাজার গ্রাম-গঞ্জসহ লোক সমাগমের সকল স্থানগুলোতে গিয়ে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নিরবচ্ছিন্ন সচেতনতামূলক প্রচার করে।

১০০% মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে সচেতনতামূলক প্রচারের পাশাপাশি অসংখ্য মাস্ক বিতরন করে। মাগুরা-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য

এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখরের সহায়তায় অসহায় মানুষকে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেবার পাশাপাশি সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত যে মানুষগুলো সবথেকে বিপদগ্রস্ত অর্থাৎ মধ্যবিত্ত শ্রেনী পেশার মানুষ যারা করো’নার কারনে হঠাৎ আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খাদ্য সংকটে অনাহারে দিন কাটাচ্ছিলো কিন্তু কারো কাছে চাইতে বা বলতে পারে নাই, এমন মানুষদের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে খবর নিয়ে অথবা তারা হটলাইন নাম্বারে ফোন দিলে পরিচয় গো’পন রেখে, ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিরাতে ৫০ থেকে ২০০ প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে।

অসহায় মা বোনেরা বাচ্চাদের দুধ কিনতে না পেরে হটলাইনে ফোন দিলে বাচ্চার দুধ, ডিম কিনে দেওয়া সহ প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে অনেকের মাছ মাংস ও অন্যান্য বাজার করে এমনকি নিজেদের বাসার ফ্রিজের মাছ মাংস দিয়ে সহযোগিতা করেছে।

বিদেশ ফেরত বা বাইরের জে’লা থেকে কেউ মাগুরা প্রবেশ করলে খবর পাওয়ামাত্র সেখানে উপস্থিত হয়ে তার সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে প্রশাসনের সহায়তায় কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরা সহ সকল প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌছে দিয়েছে।

গুরুতর অ’সুস্থ হয়ে কেউ হাসপাতা’লে এসে করো’না আতংকের কারনে ডাক্তারের অভাবে চিকিৎসা না পেলে খবর পাওয়ামাত্র হাসপাতালে ছুটে গিয়ে ডাক্তার ডেকে যথাযথ সুচিকিৎসা নিশ্চিত করেছে এবং অসহায় অ’সুস্থ মানুষের ঔষধের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

নিজের জীবন ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সবায় যখন নিরাপদে বাড়িতে অবস্থান করেছে সেই মুহূর্তে প্রচন্ড গরমের মধ্যেও করোনা ঝুঁ’কি, ঝড়, বৃষ্টিসহ সকল প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে অভুক্ত মানুষের দরজায়, ঔষধ নিয়ে অ’সুস্থ অসহায় মানুষের দরজায়, বাচ্চার দুধ, ডিম নিয়ে সন্তানের মুখে খাবার তুলে না দিতে পারা নির্বাক মা-বোনেদের দরজায় পৌঁছাতে মধ্যরাত পর্যন্ত ছুটে চলেছে মাগুরা জেলা আওয়ামী যুবলীগের হটলাইন টীমের বীর যোদ্ধারা।

শুধু তাই নয়, আপনারা জানেন কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে আত্নীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব পাশে না থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছিলো, তখন পাশে থেকেছে হটলাইন টীম।

করোনায় আক্রান্ত হওয়া কোন অপরাধ নয়। যে কেউ, যে কোন সময় করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে সতর্কতাই সবচেয়ে বেশী দরকার।

আক্রান্ত ব্যক্তিকে সঠিকভাবে আইসোলেশনে রেখে উপযুক্ত চিকিৎসা করালে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তিনি সুস্থ্য হয়ে উঠেন। তাই প্রয়োজন সকলের সহযোগীতা।

এ কারণেই মাননীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর এর নির্দেশে মাগুরা জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদেরকে অভয় দিয়ে এবং চাল, ডাল, চিনি, সুজি, লবন, ডিম, তৈল, বিস্কিট, চা, লেবু, আদা, লবঙ্গ, তেজপাতা, নানা রকম ফলমূল ও মাস্কসহ বিভিন্ন ধরণের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে মাগুরা হটলাইন টীম।

করোনা আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার খবর নেবার পাশাপাশি যেকোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছে।

মহান স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের পরিবার পরিজনের কথা না ভেবে দেশের জন্য দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য আজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন, জীবনের অধিকাংশ সময় অন্ধকার জেলের প্রকাষ্টে থাকার কারনে বাবা মা স্ত্রী সন্তানদের কাছে পর্যন্ত থাকতে পারেন নাই।

যখন দেশে করোনার কারনে দেশে চরম বিপর্যয় দেখা দেয় তখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী জেলা আওয়ামী যুবলীগ আহবায়ক মো. ফজলুর রহমান ৯৫ বছর বয়সি বৃদ্ধ মা, ১ মাসের শিশু সন্তান, অসুস্থ স্ত্রীকে ঘরে রেখে, জেলা আওয়ামী যুবলীগ সদস্য বাকী বিল্লাহ সান্টু ছোট্ট বাচ্চাদের ঘরে রেখে এবং হটলাইন টীমের অন্যান্য সদস্যরা অনেকেই বাড়ীতে বৃদ্ধ মা-বাবা, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, শিশু সন্তানদের কথা না ভেবে দেশের কল্যানে মানুষের সেবায় নিজেকে সমর্পন করেছিলো।

সকলে মাগুরা হটলাইন টীমের সকল সদস্যদের জন্য দোয়া করবেন যেনো তারা সুস্থ থেকে শেষ পর্যন্ত দেশের জন্য মানুষের কল্যানে কাজ করে যেতে পারে।