বাঁচানোর মালিক আল্লাহ তবে আপনারা না আসলে আমি মারা যেতাম আমার স্ত্রী ও ৭ মাসের বাচ্চা ছাড়া কেউ নাই
মাগুরা প্রতিনিধি : গতরাত প্রায় ১টা, বৈশ্বিক মহামারি করোনা অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় মাগুরা বাসীকে সুরক্ষিত রাখতে সারাদিন শহরব্যাপী প্রচারণা এবং লকডাউনে করোনা রোগী ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে জরুরী অক্সিজেন, চিকিৎসা ও খাদ্যসহ যাবতীয় সহায়তা দিতে করনীয় বিষয়ে আলোচনা শেষে বাড়ি ফিরে ক্লান্ত শরীরে ঘুমাবার প্রস্তুতি চলছে, এমন সময় যুবলীগ নেতা খাইরুল ইসলামের থেকে খবর পেয়ে মাগুরা হটলাইন টীমের সমন্বয়ক জেলা আওয়ামী যুবলীগ আহবায়ক মো. ফজলুর রহমানকে পূবালী ব্যাংকের অফিসার তানভীর সাহেবের ফোন,
“ভাই, আমার জন্য কিছু করেন। আমার প্রচন্ড জ্বর ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, স্ত্রী ও সাত (৭) মাস বয়সী সন্তান ছাড়া আমার কেউ নেই, ঔষধ আনার জন্যও কেউ নাই। আপনারা না এলে আমি হয়তো মারা যাবো”। একথা জানামাত্রই ফোন দিলে জেলা যুবলীগের সদস্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হটলাইন টিমের সদস্য বাকী বিল্লাহ সান্টু, মোহাম্মদ সোহান ও ইব্রাহীম সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এলেন।
শহরের হাজীসাহেব রোডে বহুতল ভবনের ৪র্থ তলায় বসবাসকারী ব্যাংক কর্মকর্তার বাসায় পৌছে দ্রুত অক্সিজেন লাগানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়ায় ঐ রাতেই পুনঃরায় দ্রুত আরেকটি সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করে আশংকা মুক্ত করেন হটলাইন টিমের বীর যোদ্ধারা। এসময় ব্যাংক কর্মকর্তা তানভির হোসেন কৃতজ্ঞতা স্বরূপ হটলাইনের সদস্যদের বলেন, “বাঁচানোর মালিক আল্লাহ তবে আপনারা না আসলে আমি মারা যেতাম, আমার স্ত্রী ও ৭ মাসের বাচ্চা ছাড়া কেউ নাই” প্রতি উত্তরে মানবিক যুবলীগের দৃষ্টান্ত জেলা আওয়ামী যুবলীগ আহবায়ক হটলাইন টীমের সমন্বক মো. ফজলুর রহমান বলেন, “আপনাদের সেবার জন্যই এই অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এবং মাগুরাবাসীর যেকোন বিপদে সার্বক্ষনিক পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রিয়নেতা এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর এমপি।”