মোশারফ হোসাইন, এসআই, বংশাল : রোববার সকাল ১০ টার সময় বংশাল থানার ফুলবাড়িয়া এলাকায় ডিউটি করা কালে আমার চেকপোষ্টে একটা লোক কান্না জড়িত কন্ঠে আমাকে বলেন,স্যার আমাকে একটু হেল্প করেন।
আমি বিদেশে যাওয়ার যাত্রী,এগারোটার সময় আমার এয়ারপোর্টে থাকতে হবে কিন্তু একটা গাড়ি ও পারছি না, আর রিক্সা করে গেলে আমার মিনিমাম ২ ঘন্টা সময় লাগবে।
আমি যদি সময়মতো এয়ারপোর্ট না যেতে পারি তাহলে আমার বিদেশ যাওয়া ক্যান্সেল হয়ে যাবে।
প্লিজ স্যার আমাকে একটু হেল্প করেন।
লোকটার পাসপোর্ট-ভিসা দেখে কনফার্ম হয়ে আমিও একটা চিন্তায় পড়ে গেছি যে অল্প সময়ে মধ্যে তাকে কিভাবে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা যায়। কারণ রিকশা ছাড়া তো এখন কোনো গাড়ি নেই। তাকিয়ে আছি রাস্তার দিকে কি গাড়ি আসে।
তারপর ৫ মিনিট পর দেখতে পেলাম জরুরিভাবে ঔষধ বিতরণের একটি গাড়ি।
গাড়িটিকে থামিয়ে ড্রাইভারকে বললাম ভাই কোথায় যাবেন? আমাকে একটু হেল্প করতে হবে, ড্রাইভার বলল স্যার আমি রামপুরা যাব।
তখন বললাম এই ভাইটা বিদেশ যাওয়ার যাত্রী এগারোটার মধ্যে তার ইয়ারপোটে থাকতে হবে, যদি আজকে যেতে না পারে তাহলে বিদেশের ফ্লাইট ক্যানসেল হয়ে যাবে, আপনি তাকে একটু এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিয়ে আসেন, আর তাকে আমার ফোন নাম্বারটি দিয়ে দিলাম যদি রাস্তায় কোন সমস্যা হয় আমাকে যেন ফোন দেয়। যথাসময়ে এয়ারপোর্টে পৌঁছে আমাকে ধন্যবাদ জানায়। সেই মুহূর্তে আমি দায়িত্বে থাকার কারণেই হয়তো বা তাকে গাড়ীতে তুলে নিতে সক্ষম হয়ে তার একটু উপকার করতে পেরেছি। আর এতটুকু উপকার এর মাঝে মনে শান্তি খুঁজে পাই।