চট্টগ্রামে ধর্ষন-হত্যা চেষ্টার আসামি কিশোরগ্যাং এর শাহাদাত গ্রেফতার

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানাধীন বাদামতল এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী কিশোর গ্যাং লিডার শাহাদাত’কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

গত ১০ জুলাই ২০২১ইং তারিখে পটিয়া এলাকার ছনহরা ইউনিয়নের গোয়াতলি গ্রামে কুখ্যাত কিশোর গ্যাং লিডার শাহাদাত হোসেন (২৫) একজন তরুণীকে (২১) দিনব্যাপী ধর্ষণ করে এবং রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টায় সাথে থাকা ছুরি দ্বারা আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে পালিয়ে যায়। গোয়াতলি এলাকায় জনৈক ব্যক্তি উক্ত নারীকে রাস্তার পাশে নাড়িভূড়ি বের হয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে দ্রত পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন; যার মামলা নং- ১১, তারিখ-১১/০৭/২০২১ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০২০) এর ৯(৪) (ক)। উক্ত ঘটনা এলাকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এরই প্রেক্ষিতে, র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত ঘটনার ছায়াতদন্ত শুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায়, র‌্যাব-৭ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উপরোল্লিখিত ঘটনার প্রধান আসামী কিশোর গ্যাং লিডার মোঃ শাহাদাত হোসেন (২৫) চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানাধীন বাদামতল এলাকায় অবস্থান করছে।

উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ২৬ জুলাই, সাড়ে ৯ টায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে আসামী মোঃ শাহাদাত হোসেন (২৫), পিতা-নুরুল আলম, সাং-কচুয়াই, থানা- পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করে।

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার সত্যতা স্বীকার করে।

উল্লেখ্য যে, ভিকটিম বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।