প্রকৃতি সংরক্ষণ করতে ১৮ কোটি জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে: সবুজ আন্দোলন

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : “প্রকৃতির প্রতি অবিচার, করবো আমি সুবিচার” এই স্লোগানকে সামনে রেখে পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন আজ ২৮ জুলাই সকালে জুম মিটিং এ বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস পালন করে। সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের মহাসচিব মহসিন সিকদার পাভেল’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সবুজ আন্দোলনের উপদেষ্টা ড. মনজুরুল কিবরীয়া, প্রধান আলোচক ছিলেন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার। উদ্বোধন করেন সবুজ আন্দোলনের উপদেষ্টা ও সামাজিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর অব: মাহমুদুর রহমান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের পরিচালক সোলায়মান হোসেন,নাদিয়া নূর তনু, নিলুফার ইয়াসমিন রুপা। মিটিং এ সংগঠনের দেশ ও দেশের বাহিরে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ ২০০ শতাধিক সদস্যগন অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিচালক ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা উদয় খান।


বিজ্ঞাপন

ড. মনজুরুল কিবরীয়া তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান বিশ্বে পরিবেশ বিপর্যয় সব থেকে আলোচনায়। আমাদের মত উন্নয়নশীল রাষ্ট্র সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বায়ু দূষণ, মাটি দূষণ, অবাধে বৃক্ষ নিধন, নদী দূষণ ও দখল, অবাধে পাহাড় কর্তন বন্ধ করতে হবে। রাষ্ট্র ও জনগণকে পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে একসাথে কাজ করতে হবে।

বাপ্পি সরদার তার বক্তব্যে বলেন, পরিবেশ বিপর্যয় রোধে ১৮ কোটি জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে সব থেকে ঝুঁকিতে। আজকের এই দিবসে আমরা দাবি জানাই অনতিবিলম্বে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল প্রদান করা হোক। পাশাপাশি পরিবেশ সমুন্নত রাখতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। মিথেন গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

এসময় সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়:
১/ বন পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিবেশবাদী সংগঠন ও ব্যক্তি দের নিয়ে স্টেকহোল্ডার বডি তৈরি করতে হবে।
২/ বড় বড় প্রকল্পে অবাধে বৃক্ষ কর্তনের মানসিকতা দূর করতে হবে এবং নতুন প্রকল্পে সবুজায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
৩/ রিসাইকেলিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে এবং সারা বাংলাদেশে ছোট-বড় বাজারগুলোতে ডাস্টবিনের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
৪/ বায়ু দূষণ বন্ধে দিনে দুইবার ঝাড়ু ও সাপ্তাহে একদিন রাস্তা পানি দিয়ে ধোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে পরিবেশবান্ধব ইটভাটা চালু করতে উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা দিতে হবে।
৫/ অবাধে বৃক্ষ কর্তন বন্ধ করে সামাজিক ভাবে বনায়ন কর্মসূচি বৃদ্ধি করতে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করতে হবে।
৬/ শিক্ষা ব্যবস্থায় সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে পরিবেশ শিক্ষাব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।