চালের আড়ত, ভোজ্যতেল ও শিশুখাদ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান

বানিজ্য

বিশেষ প্রতিবেদক : রবিবার ১ আগস্ট কোভিড মহামারী এবং সরকারী বিধি-নিষেধের এ সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী টিপু মুনশি এমপির পরামর্শে এবং বাণিজ্য সচিব এর তত্বাবধানে বাজারে চাল, ভোজ্যতেল ও শিশুখাদ্যসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় অভিযান পরিচালিত হয়।


বিজ্ঞাপন

অভিযানে চাল, ভোজ্যতেল, শিশুখাদ্যসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মূল্য যৌক্তিক ও স্থিতিশীল রাখতে এবং ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে সতর্ক করে অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনাকারী টিম।

বাজারে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য হ্যান্ড মাইকে সচেতনতামূলক প্রচার করা হয়।

ঢাকা মহানগরীর গুলশান ১ ডিসিসি মার্কেট, বনানী ও মহাখালী এলাকার বিভিন্ন শিশুখাদ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠান, চালের আড়ত, ভোজ্যতেলের দোকান ও নিত্যপণ্যের বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস, ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান।

এছাড়াও ঢাকার বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকগণের নেতৃত্বে বিভিন্ন বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে গুলশান ১ ডিসিসি মার্কেটে শিশুখাদ্য বিক্রয়কারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়।

এসময় শিশুখাদ্যের কৌটায় আমদানীকারকের নাম, ঠিকানা ও সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য উল্লেখ না থাকায় একটি প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক জরিমানা আরোপ করা হয় এবং অন্যান্য শিশুখাদ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়।

পাশাপাশি মহাখালী বাজারে অবস্থিত বিভিন্ন চালের আড়ত ও ভোজ্যতেলের দোকানে ক্রয়-বিক্রয় রসিদ, পণ্যের মূল্যতালিকা পর্যবেক্ষণ করা হয়।

এসময় আইন লংঘনের দায়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক জরিমানা করা হয় এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়।

এছাড়াও অভিযান পরিচালনাকালে পেঁয়াজ, আদা, কাঁচা সবজি, ঔষধসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হয়।

পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সাথে বিক্রয় রশিদের গরমিল, পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ ও ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে সারাদেশে ৪৭টি প্রতিষ্ঠানকে ২,২০,৫০০/- টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা কোভিড মাহামারীর এ সময়ে বাজারে চাল ও শিশুখাদ্যসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় রাখতে ব্যবসায়ীদের আহবান জানান।

সেইসাথে আইন মেনে ও নৈতিকতা অনুসরণ করে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান তিনি।