ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে দরকার সামাজিক আন্দোলন: মেয়র আতিক

রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, একদিকে করোনা, আরেকদিকে ডেঙ্গু। এসব রোগের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সামাজিক আন্দোলন করতে হবে। সুস্থতার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমেই ডেঙ্গু, করোনা থেকে মুক্তি পেতে সবাইকে সচেতন করতে কাজ করতে হবে। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করাটা জরুরি।


বিজ্ঞাপন

বুধবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর ভাটারা এলাকায় ৪০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সামনে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের লক্ষ্যে মশক নিধনে চিরুনি অভিযান ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন

আতিকুল ইসলাম বলেন, সকল কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে যাচ্ছি সবার মধ্যে সচেতন সৃষ্টি করার জন্য। এছাড়া কাউন্সিলরদের আমি নির্দেশনা দিয়েছি তারা যেন সকল অলিগলি পাড়ামহল্লাতে গিয়ে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পেতে করণীয় সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করেন। আমাদের সুস্থতার জন্য সামাজিক আন্দোলন ছাড়া আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে পারবো না। আমরা আমাদের মতো করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু বাসার ভিতরে বিভিন্ন পাত্রে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিসের লার্ভা থাকে। ঘরের ভিতরে গিয়ে এসব দেখা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তাই নিজ নিজ ঘর, আঙ্গিনা নিজেদেরই পরিষ্কার করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা একটি বার্তা নগরবাসীর কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করছি, প্রতি শনিবার ১০টা ১০ মিনিটে নিজের আঙ্গিনা করবো পরিষ্কার‑ এই কার্যক্রমে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলতে হবে। কাউন্সিলরদের সব অলিগলিতে গিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। নগরের সবাইকে বলবো সবার মতো করে নিজ নিজ জায়গা থেকে চেষ্টা করার জন্য। এই সচেতনতাকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। প্রতিটি কাউন্সিলরকেও এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, অভিযানের সময় আমরা দেখেছি নির্মাণাধীন ভবনে ৬৫ শতাংশ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। ২৫ শতাংশ পাই ওয়াসার মিটারে। আর বাকিগুলো পাই টব, টায়ার এবং ডাবের খোসার মতো অপ্রয়োজনীয় জিনিসে। এসব বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন হবে। চিপসের প্যাকেটের মধ্যে, ডাবের খোসার মধ্যে, ফুলের টবের মধ্যে লার্ভা।তাছাড়াও ঘরের ভিতরে পাত্রে জমে থাকা পানিতে, বেলকনিতে ফুলের টবের পানিতে লার্ভা হয়। সেখানে তো আমরা যেতে পারি না। তাই নিজ নিজ জায়গা থেকে এগুলো পরিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ না করলে ডেঙ্গু থেকে আমরা রক্ষা পাবো না।

এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।