কাঁচামরিচ, চালসহ নিত্যপণ্যের বাজার, ফিলিং স্টেশনে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান

বানিজ্য

বিশেষ প্রতিবেদক : বুধবার ১১ আগস্ট কোভিড মহামারীর এ সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী টিপু মুনশি এমপির পরামর্শে এবং বাণিজ্য সচিব এর তত্বাবধানে বাজারে কাঁচা মরিচ, চালসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে এবং ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধ প্রতিরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে কাঁচা মরিচ,চালসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মূল্য যৌক্তিক ও স্থিতিশীল রাখতে এবং ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে সতর্ক করে অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনাকারী টিম।


বিজ্ঞাপন

এসময় বাজারে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য হ্যান্ড মাইকে সচেতনতামূলক প্রচার করা হয়।

ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর টাইনহল, মোহাম্মদপুর কৃষিমার্কেট এলাকার বিভিন্ন কাঁচা সব্জির দোকান, চালের আড়ত, নিত্যপণ্যের দোকান ও ফিলিং স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস এবং সহকারী পরিচালক প্রনব কুমার প্রামানিক।

এছাড়াও ঢাকার বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকগণের নেতৃত্বে বিভিন্ন বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে মোহাম্মদপুর টাউনহল ও কৃষিমার্কেটে বিভিন্ন কাঁচা সবজির দোকানে কাঁচা মরিচের মূল্য ও ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদ পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং যৌক্তিক মূল্যে কাঁচামরিচ বিক্রয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন চালের আড়ত, ভোজ্যতেলের দোকানসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হয় এবং মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে তেল পরিমাপ পরীক্ষা করা হয়।

সারাদেশে পরিচালিত অভিযানে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সাথে বিক্রয় রশিদের গরমিল, পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ, পণ্যের মোড়কজাতকরন বিধি লংঘন, অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত, ওজন ও পরিমাপে কারচুপিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ১০৬টি প্রতিষ্ঠানকে ৭,৫০,৫০০/- টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

এছাড়াও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতকরণসহ স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, ক্যাবসহ সংশ্লিষ্ট শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ অধিদপ্তর পরিচালিত অভিযানে সহযোগিতা প্রদান করেন।

এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা ব্যবসায়ীদের আইন মেনে ও নৈতিকতা বজায় রেখে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবসায়ীদের আহবান জানান।

অনৈতিকভাবে ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী ব্যবসায়িক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অধিদপ্তরের অভিযান/তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

ভোক্তা অধিকার মুনসীগঞ্জ কর্তৃক ঔষধের ফার্মেসি ও সারের দোকান ও কনফেকশনারি মনিটরিং: বুধবার ১১ আগস্ট, বানিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মুন্সীগঞ্জ জেলা কার্যালয় কর্তৃক মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় সিরাজদিখান উপজেলার মাদবরের বাজার এলাকায় তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

দুইটি সারের দোকান, একটি কনফেকশনারি ও একটি ফার্মেসিতে মনিটরিং করা হয়। সারের দোকান দুইটাতে দেখা যায়, সারের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা হচ্ছে না।

কনফেকশনারি তে দেখা যায় উতপাদনের তারিখ মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ এমআরপি বিহীন পাউরুটি ও কেক বিক্রি করা হচ্ছে। ফার্মেসী তে দেখা যায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির জন্য প্রদর্শন করা হচ্ছে ।

প্রতিষ্ঠান চারটিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী জরিমানা করা হয়।

এসময় ভোক্তাদেরকে মাস্ক পরিধান করতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

সিরাজদিখান থানা পুলিশ এর একটি টিম ও উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর অভিযানে সহযোগিতা করেন। জনস্বার্থে এ তদারকি মূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।