বেনাপোলে ৩০ লাখ টাকার নকল-ভেজাল ওষুধ জব্দ

অপরাধ

মো. সুমন হোসেন, যশোর : যশোর বেনাপোলে ৩০ লাখ টাকার নকল ওষুধ জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আটককৃত ওই ৩০ লাখ টাকার ঔষধ বাংলাদেশী ও ভারতে পাওয়া যায় এমন সব নকল ও স্বাস্থ ঝুঁকি রয়েছে এমন সব নকল ও ভেজাল ঔষধ।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, বেনাপোল স্থলবন্দরের সিজিসি ৯ নম্বর গেট এলাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা মূল্যের বাংলাদেশি ও ভারতীয় নকল ওষুধ, শাড়ি, থ্রিপিসসহ একটি কাভার্ডভ্যান আটক করেছে বেনাপোল কাস্টমসের ইনভেসটিকেশন রিসার্স ম্যানেজমেন্ট (আইআরএম) টিমের সদস্যরা।


বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে উপ-কমিশনার এস এম শামীমুর রহমানের নেতৃত্বে এ চালানটি জব্দ করা হয়।


বিজ্ঞাপন

কাস্টমস হাউস সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে, একটি কাভার্ডভ্যানে (ঢাকা মেট্রো ন-১৩-৬৪০৮) বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ, শাড়ি ও থ্রিপিস নিয়ে সিজিসি ৯ নম্বর গেট এলাকায় রয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপ-কমিশনার এস এম শামিমুর রহমানের নেতৃত্বে আইআরএমের একটি টিম সেখানে অভিযান চালিয়ে কাভার্ডভ্যানটি আটক করে।

পরে তল্লাশি চালিয়ে কাভার্ডভ্যান থেকে শাড়ি, থ্রিপিস ও বিপুল পরিমাণ ভারতীয় নকল ওষুধ পাওয়া যায়। আটকের সময় গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে যায়। তাদের আটক করতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার এস এম শামীমুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যম কে বলেন, বন্দরের মধ্যে কাভার্ডভ্যানটির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে সেটা আটক করা হয়।

জব্দ এসব পণ্যের কোনো সরকারি ট্যাক্স পরিশোধ বা বিল অব এন্ট্রির কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জব্দ পণ্যের মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা। যেসব ওষুধ পাওয়া গেছে সেগুলো নকল- ভেজাল এবং বাংলাদেশে পাওয়া যায়। ভারত থেকে এ জাতীয় ওষুধ আমদানি করা হয় না।

সরকারি শুল্ক ফাঁকি ও চোরাচালানি রুখতে বেনাপোল আইআরএম টিম সবসময় সজাগ রয়েছে বলে জানান তিনি।