নবনির্মিত যশোর-খুলনা মহাসড়ক যেন মৃত্যু ফাঁদ

খুলনা

যশোর-খুলনা মহাসড়ক পুননির্মাণ নির্মান কাজে পুকুর নয় সাগর চুরি , ৩৮কিলোমিটার রাস্তা নির্মানে ৩৮৫ কোটি টাকা হরিলুট

মো. সুমন হোসেন, যশোর : যশোর থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত মাত্র ৩৮কি.মি. রাস্তা ৩৮৬কোটি টাকায় ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত দুই বছর সময় ধরে পূণ:নির্মাণ করা শেষ হলো মাত্র এর মধ্যেই যশোর – খুলনা মহাসড়কের বেহাল অবস্থা ।


বিজ্ঞাপন

নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই সড়কের বহু স্থানে সড়কের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। নবনির্মিত এই সড়কের চেহারা সেই আগের যায়গায় ফিরে আসতে শুরু করেছে।

অথচ সরকার এই ৩৮ কিলোমিটার রাস্তা নির্মান কাজে বরাদ্দ দিয়েছিল ৩৮৫ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপদ বিভাগের যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সড়ক নির্মান কাজের দায়িত্বরত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অযোগ্যতা, অদক্ষতা সর্বপরি দুর্নীতির কারনে ই এখনই রাস্তা সেই আগের মতোই এবড়ো খেবড়ো হয়ে রাস্তার মধ্যে বড়ো বড়ো গর্ত আর উঁচু উঁচু ঢিবি তৈরী হয়েছে ।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের বিল পাস করেছেন কিন্তু সড়কের এই বেহাল অবস্থার কি হবে। সড়ক নির্মানে সরকারের বরাদ্দ কৃত ৩৮৫ কোটি টাকা হরিলুটের কি হবে? স্থানীয় জনসাধারণ ও সচেতন মহলের মতে উক্ত সড়ক নির্মান কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা এবং সড়ক টি পুননির্মাণ করে সড়কটিকে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করার ব্যাবস্থা গ্রহণ করে অকাল মৃত্যু থেকে যশোর – খুলনা মহাসড়কের উভয় পাশের জনগণকে রক্ষা করা।

সড়কের এই বেহাল অবস্থার কারনে যশোর – খুলনা মহাসড়কে প্রায় ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। ঝরছে তাজা প্রান নবনির্মিত এই যশোর – খুলনা মহাসড়ক এখন সাধারণ মানুষের মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।