মো. সুমন হোসেন, যশোর : ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গত ২৭ আগস্ট রাত অনুমান ৯ টার সময় হতে শার্শা থানাধীন কাশিয়াডাঙ্গা সাকিনে মোঃ বজলুর রহমানের ছেলে ইসরাফিল হোসেন (৩৭) নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ ভিকটিম ইসরাফিলের স্ত্রী রোজিনা বেগম ইসরাফিলকে বিভিন্ন সম্ভাব্য স্থানে খোঁজে না পেয়ে গত ২৯ আগস্ট শার্শা থানার জিডি নং-১১৭৫ মূলে একটি নিখোঁজ জিডি করে।

৫ দিন গত হলেও ভিকটিমের কোন সন্ধান না পাওয়ায় পুলিশ সুপার মহোদয় নিখোঁজ জিডি’র তদন্তের জন্য ১ আগস্ট জেলা গোয়েন্দা শাখাকে নির্দেশ প্রদান করেন।

ওসি ডিবি রুপণ কুমার সরকার, পিপিএম বিষয়টি এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম এর উপর তদন্তভার ন্যাস্ত করেন।
গ্রেফতার ও উদ্ধার অভিযানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) (ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) জাহাঙ্গীর আলম এর দিক-নির্দেশনায়. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম/প্রশাসন), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার “ক” সার্কেল ও নাভারণ সার্কেলের সিনিঃ সহকারী পুলিশ সুপারগণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ওসি ডিবি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম এর নেতৃত্বে জিডি’র তদন্তের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম সঙ্গীয় এসআই শাহিনুর রহমান, এএসআই এসএম ফুরকান ও ফোর্সসহ একটি চৌকশ টিম অনুসন্ধানে নামে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ১ সেপ্টেম্বর বুধবার বেলা দেড় টার সময় কাশিয়াডাঙ্গা সাকিনে অভিযান পরিচালনা করে সন্ধেহভাজন ৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্য মতে কাশিয়াডাঙ্গা সাকিনস্থ মোড়লবাড়ী বড় কবরস্থানে মাটি চাপা দেওয়া নিখোঁজ ভিকটিম ইসরাফিলের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এই সংক্রান্তে নিহত ইসরাফিলের স্ত্রী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে অভিযোগ দিলে শার্শা থানার মামলা নং-০২ তাং- ০১/০৯/২০২১ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম তদন্ত করছেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ যানতে পারে যে, পারিবারিক জায়গা জমি ও চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের, নারী ঘটিত কারন (নিহত ইসরাফিলের সাথে ৩নং বিবাদী মর্জিনার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর পরকীয়া), মাদক ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ও গাঁজা সেবনের জন্য ডেকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ কবরস্থানে মাটি চাপা দিয়ে গুম করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম ও ঠিকানা যথাক্রমে, নুর আলম (৪২), পিতা- নুর মোহাম্মদ, মোঃ মোশারফ হোসেন (৪৫), পিতামৃত- আহম্মদ আলী,এবং মর্জিনা বেগম (৩২), স্বামী-ইসমাইল হোসেন,সর্বসাং-কাশিয়াডাঙ্গা, থানা-শার্শা,জেলা- যশোর। নিখোঁজ ভিকটিম ইসরাফিলের মৃত দেহ উদ্ধার হয়েছে।