গাজীপুরের উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

জাতীয় ঢাকা রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, গাজীপুরের উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। জাতীয় উন্নয়ন অগ্রগতি ও ইতিহাস ঐতিহ্যে গাজীপুরের গৌরবোজ্জ্বল অবদান রয়েছে। বর্তমান সরকার সারা দেশের ন্যায় গাজীপুর জেলায় যথেষ্ট উন্নয়ন করেছে। বর্তমান সরকারের বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান ও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই সকল চলমান উন্নয়ন প্রকল্প সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়ন করতে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ১৬ই মার্চ গাজীপুর জেলাকে বিশেষ শ্রেণীর জেলা হিসেবে ঘোষণা করেন। ২০১৩ সালে গাজীপুর ও টঙ্গী পৌরসভার ৩২৯ দশমিক ৫৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠন করা হয় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (জিসিসি)। জিসিসি’র উন্নয়নে সরকার অনেকগুলো প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং সম্প্রতি প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই সকল প্রকল্পগুলো সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে বাস্তবায়ন করা অপরিহার্য। গাজীপুর উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে ‘আধুনিক গাজীপুরের উন্নয়নের চ্যালেন্স ও করণীয়ঃ জনপ্রতিনিধি ও পেশাজীবীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুরের সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূইয়া’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, গাজীপুর উন্নয়ন পরিষদের উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। পরিষদের আহ্বায়ক আতাউর রহমান ও যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ সালাম শান্ত এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিআরটিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান মো. আইয়ূবুর রহমান খান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আনিসুর রহমান মিয়া, অধ্যাপক এম এ বারী, সমাজসেবক মো. শহীদুল্লাহ, ডা. আব্দুল জলিল, রাশেদ আহমেদ প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধে লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল বলেন, ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ সবুজ শ্যামলে অরণ্যশোভিত প্রাচুর্যময় জেলা গাজীপুর। ১৯৭১ সালের ১৯মার্চ গাজীপুরের জয়দেবপুরে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে বীর জনতার প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হয়। এই সশস্ত্র প্রতিরোধে পাকিস্তান সৈনিকদের গুলিতে মনু খলিফা, হুরমত, নিয়ামত ও কানু মিয়া শাহাদাৎ বরণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে এটাই ছিল বাঙালি জনতার প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ। তিনি ১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করার আহ্বান জানান। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবসের মহানায়ক বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক-কে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করার আহ্বান জানানো হয়। মূল প্রবন্ধে গাজীপুর ও তার সন্নিহিত এলাকা সমন্বয়ে একটি আধুনিক সুসম্মত ও সুপরিকল্পিত নগরী এবং আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে গাজীপুর উন্নয়ন কতৃপক্ষ আইন গেজেট আকারে প্রকাশ করে অবিলম্বে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া গাজীপুরের ভূ-প্রাকৃতিক ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *