বিসিডিএস-নির্বাচন বোর্ড ২০২১-২৩ সংক্রান্ত একটি চিঠি ফেসবুকে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করেছে

স্বাস্থ্য

জাকির হোসেন রনি : বিসিডিএস নির্বাচন বোর্ড ২০২১-২০২৩ নির্বাচন সংক্রান্ত একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে, খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উক্ত চিঠিটিতে ১৭৪ নং যে স্মারকটি ব্যবহার করা হয়েছে সেই স্মারক নম্বরটি বাংলাদেশ কেমিস্টস্ অ্যান্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতি’র প্রধান কার্যালয় থেকে ইতোমধ্যেই চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা’র কমিটি’র মেয়াদ বর্ধিত করার জন্য সেই স্মারক নম্বরটি অফিসিয়ালি ব্যবহার করা হয়েছে, যা নোটিশ জারির তালিকা থেকে পাওয়া গেছে।


বিজ্ঞাপন

চিঠিটিতে যে সমস্ত বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে তাতে বিভিন্ন তথ্য বিভ্রাট ঘটেছে।

উক্ত বিষয়সমূহ নিয়ে হাইকোর্টে জনৈক ব্যক্তির রিট পিটিশন একবার নিষ্পত্তি ও আরেকবার খারিজ হয়ে গিয়েছে।

সাদেকুর রহমান চিঠিটিতে যে স্বাক্ষর করেছেন, তাঁর বহুদিনের সহকর্মীরা স্বাক্ষরটি দেখে বলেছেন এটি তাঁর নয় এবং তিনি দৃষ্টিহীন হওয়ায় ওই জায়গায় স্বাক্ষর করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।

আবার একই স্মারক নম্বরে সভাপতি ও সচিব চিঠি দিতে পারেন না। যেকোনো একটি সঠিক সেটি কোনটি তা সহজেই বোঝা যায়।

মি: রহমানের নামে যে প্যাডটি ব্যবহার করা তা ঢাকা জেলা শাখার প্যাড। কেন্দ্রীয় কোনো নির্দেশনা ঢাকা শাখার প্যাডে হতে পারেনা।

চিঠিটি যে সমস্ত জায়গায় প্রেরণ করা হয়েছে সমিতি’র অফিসের কোনো চ্যানেল, স্টাফরা না জানায় তা সঠিক মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়নি বলে প্রতীয়মান হয়।

চিঠিটি যদি সঠিকও হয় সেটিতে যে ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা নির্বাচন বোর্ড, আপিল বোর্ড গঠন করার পর শুধুমাত্র আইন নির্ধারিত কোনো কর্তৃপক্ষই এই ধরনের নির্দেশনা দিতে পারে।

একজন ব্যক্তি যিনি প্রার্থী তিনি টেলিফোনে আলাপ করে একটি নির্বাচন বোর্ডের কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেন না , এটি নির্বাচন বানচালের শামিল।

নির্বাচনটি বিভিন্ন সময়ে ও বাংলাদেশ সরকারের কোভিডকালিন বিধিনিষেধের কারণে চার বার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে এটাকে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে স্থগিত করে রাখেনি।

তাই এই চিঠিটি বৈধ নয় বলেই প্রতীয়মান হয় ও নির্বাচন বোর্ডের কার্যক্রম অবশ্যই চলমান থাকবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত আইন নির্ধারিত কোনো কর্তৃপক্ষ নির্বাচন বন্ধ করার আদেশ-নির্দেশ না দিবে ততক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের বিধিবিধান মেনে এই নির্বাচন কার্যক্রম চলমান থাকবে৷ একজন প্রার্থী হিসেবে যথাসময়ে নির্বাচন চাই।