নিজস্ব প্রতিনিধি : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, “শিক্ষার জন্য সুস্থ্য পরিবেশ” বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তিন দিনব্যাপী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
আজ ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ তারিখ রোজ- বুধবার সকালে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় গুলশান মডেল স্কুল এন্ড কলেজে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে তিন দিনব্যাপী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সরকারী, বেসরকারী ও আধাসরকারী প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজসমূহ মোট ৪৪৩টি প্রতিষ্ঠানে ৮, ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর এই ৩ দিনব্যাপী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণটিকার আওতায় কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হচ্ছে সেগুলোতে ১১ সেপ্টেম্বর বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, এই সময়ের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটা শ্রেণীকক্ষে ফগিং ও স্প্রে করা, খেলার মাঠ ও ছাদসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও টয়লেট কিংবা অন্য কোথাও পানি জমে থাকলে সেখানে লার্ভিসাইডিং করা হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নাগরিক সেবায় ব্যবহৃত “সবার ঢাকা” মোবাইল অ্যাপস অথবা ০৯৬০২২২২৩৩৩ ও ০৯৬০২২২২৩৩৪ নম্বর হটলাইন কিংবা আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানানো হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ ফগিং ও লার্ভিসাইডিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সুস্থ ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ খুবই জরুরী। তাই প্রত্যেকটি বাসাবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।
মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, নিজেদের বাসাবাড়ি কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, বিভিন্ন ধরনের খোলা প্যাকেট বা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কিছুতে যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, তাই “তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন”।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সময়ের প্রয়োজনে লজ্জা পরিহার করে সবাই মিলে “দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার” স্লোগানটিকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে আরও জোরদার করে সুস্থ্যতার জন্য চলমান সামাজিক আন্দোলনকে সফল করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার” তাই বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে সকলকে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানসহ সরকারী নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
মোঃ আতিকুল ইসলাম এর উপস্থিতিতেই গুলশান মডেল স্কুল এন্ড কলেজে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।