নিজস্ব প্রতিনিধি : ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা অনুমান ৬ টার সময় বাদিনীর মেয়ে এর সহিত মোবাইল ফোনে পরিচয় হওয়া সুবাদে আসামী ১। রায়হান উদ্দিন (২০), পিতা-ইমাম উদ্দিন, মাতা-নাজমা বেগম, সাং-নন্দিরগাঁও, থানা-গোয়াইনঘাট, জেলা-সিলেট তাকে দেখা করার কথা বলে দক্ষিণ সুরমা থানাধীন মুছারগাঁওস্থ বাদিনীর ভাড়াটিয়া বাসা হতে ডেকে দক্ষিণ সুরমা থানাধীন বাইপাস রোডে নিয়ে গিয়ে পূর্ব হতে সেখানে রাখা একটি সিএনজি অটোরিক্সায় অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের সহযোগীতায় জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে এসএমপি’র এয়ারপোর্ট থানাধীন ছালিয়া এলাকার সালুটিকর পুরাতন খেয়াঘাটস্থ শামীম মিয়ার আলজান্নাত ইষ্টার্ন ক্রাশার মিলের ভিতরে নিয়ে যায়। অত:পর ২নং আসামী কবির হোসেন (২৫) আলজান্নাত ইষ্টার্ন ক্রাশার মিলের স্টাফদের অবস্থানের কক্ষে নিয়ে ভিকটিম ও ১নং আসামী রায়হানকে সেখানে রাখে।

তারপর আসামী রায়হান উদ্দিন উক্ত কক্ষে ভিকটিম(১৭) কে আটক রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ২নং আসামী কবির হোসেন, ১নং আসামী রায়হান উদ্দিনকে কক্ষ হতে বের করে দিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

স্থানীয় জনগণ ভিকটিমকে উক্ত কক্ষে দেখতে পেয়ে সন্দেহবশত: আটক করে তাকে জিজ্ঞাসা করলে, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করার বিষয়টি তাদেরকে জানালে, তারা স্থানীয় পুলিশ’কে অবগত করেন।
পরবর্তীতে ১৭ সেপ্টেম্বর বেলা অনুমান ২ টার সময় স্থানীয় পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে এসে আসামী রায়হান ও ভিকটিমকে সালুটিকর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ সালুটিকর পুলিশ ফাঁড়িতে উপস্থিত হয়ে ভিকটিম এবং আসামী রায়হান উদ্দিনকে থানায় নিয়ে আসে।
উল্লেখিত ঘটনা সংক্রান্তে ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে, দক্ষিণ সুরমা থানার মামলা নং-১৯, তারিখ-১৮ সেপ্টেম্বর ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশো/০৩) এর ৭/৯(৩)/৩০ রুজু হয়।
আসামী রায়হান উদ্দিন (২০) কে যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কামরুল হাসান তালুকদার, অফিসার ইনচার্জ, দক্ষিণ সুরমা থানা, এসএমপি, সিলেট।