রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ নিম্নমানের চিকিৎসা সামগ্রীসহ গ্রেফতার ১

অপরাধ

বিশেষ প্রতিবেদক : র‍্যাব ৪ ঢাকা মহানগরীর মিরপুর মডেল থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিম্নমানের অক্সিমিটার ও ইনফারহেড থার্মোমিটার ও বিপুল পরিমান নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ কালোবাজারী চক্রের ১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, এলিট ফোর্স হিসেবে র‌্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ,প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে।

বর্তমানে করোনা মহামারী সংক্রমনের কারনে কিছু অসাধু কালোবাজারী চক্র বিভিন্ন ভেজাল ও নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বিক্রয়ের মাধ্যমে সাধারণ ও নিরিহ লোকজনের সাথে দীর্ঘদিন যাবত প্রতারণা করে আসছে।

জঙ্গীবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি সাম্প্রতিক এসব কালোবাজারী চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব সদা তৎপর।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রবিবার ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টা ৫০ মিনিটের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি বিশেষ টিম ঢাকা মহানগরীর মিরপুর মডেল থানাধীন এলাকায় এক অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযান পরিচালনা কালে নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জামাদি যথাক্রমে ২৪৩০ টি পালস্ অক্সিমিটার, ১৮৬ টি ইনফারেড থার্মোমিটার এবং নগদ-২,৮৫০/- টাকাসহ কালোবাজারী চক্রের মূলহোতা মোঃ কাওছার হামীদ মুন্না (২৯), জেলা- ফেনী’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে ধৃত আসামী তার নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে ও এই ধরনের প্রতারনার কথা স্বীকার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, ধৃত আসামী দীর্ঘদিন যাবত পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অধিক মুনাফা লাভের আশায় নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জামাদি প্রতারণার উদ্দেশ্যে লোকজনের নিকট বিক্রয় করে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করে আসছে।

প্রতারণার কৌশলঃ ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে মালামাল সংক্রান্তে ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে বললে ধৃত আসামী মালামাল সংক্রান্তে বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমোদন, ট্রেড লাইসেন্সে কি ধরনের ব্যবসার উল্লেখ, জয়েন ষ্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদন, মহাপরিচালক ঔষধ প্রশাষন অধিদপ্তর এর এনওসি, মহাপরিচালক ঔষধ প্রশাষন অধিদপ্তর এর রেজিষ্টেশন সংক্রান্ত কোন বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই এবং সে জানায় যে, করোনা পরবর্তী সময়ে স্কুল-কলেজ খুললে জব্দকৃত জাম্পার পালস্ আক্সিমিটার এবং মিডেক্স নন কন্ট্রাক্ট ইনফারেড থার্মোমিটার এর ব্যপক চাহিদা হবে বিধায় অধিক মুনাফা লাভের আশায় বর্ণিত মালামাল সমূহ ধৃত আসামী নিজ হেফাজতে মজুদ রেখেছে বলে স্বীকার করে।

পরবর্তীতে জব্দকৃত মালামাল সমূহ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ঢাকা এর একজন প্রতিনিধি কর্তৃক পরীক্ষা করে জানা যায় যে, উক্ত জাম্পার পালস্ আক্সিমিটার এবং মিডেক্স নন কন্ট্রাক্ট ইনফারেড থার্মোমিটার সমূহ সকলের দেহে একই তাপমাত্রা প্রদর্শন করে এবং তিনি আরো জানান যে, উক্ত জাম্পার পালস্ আক্সিমিটার এবং মিডেক্স নন কন্ট্রাক্ট ইনফারেড থার্মোমিটার গুলো নিম্নমানের যা ব্যবহার যোগ্য নয়।

উক্ত ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

অদূর ভবিষ্যতে এরুপ কালোবাজারী চক্রের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর জোরালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।