কেএমপিতে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে মতবিনিময়

অপরাধ

মামুন মোল্লা, খুলনা : মঙ্গলবার ২৮ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহামান ভূঞা এর সভাপতিত্বে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে খুলনা মহানগরীতে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিশ্চিতকরণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।


বিজ্ঞাপন

উক্ত মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) এসএম ফজলুর রহমান; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন; বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ এহ্সান শাহ্; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) বি.এম নুরুজ্জামান, বিপিএম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (এফএন্ডবি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু; ডেপুটি উপ-পুলিশ কমিশনার (আরসিডি) জনাব মনিরা সুলতানা-সহ কেএমপি’র অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনারবৃন্দ; সহকারী পুলিশ কমিশনারবৃন্দ এবং অফিসার ইনচার্জবৃন্দ।

এছাড়াও, খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও খুলনাস্থ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২১ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপন উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় নিম্নলিখিত গৃহীত সিদ্ধান্ত সমুহ যথাক্রমে,

কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে ভক্ত ও অতিথিদের পূজামন্ডপে সরকারী নির্দেশনা অনুসারে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা। পূজা মন্ডপের সংখ্যা যথাসম্ভব কমিয়ে আনা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করা। মন্দিরের প্রবেশ পথে হাত ধোওয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর ব্যবস্থা রাখা। পূজামন্ডপে আগত ভক্তদের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা এবং মন্দির ও আশপাশ এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে করা।
শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা বিসর্জন পরিহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা।
সকল পূজামন্ডপে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সিসি ক্যামেরা এবং গুরুত্বপূর্ণ পূজা মন্ডপের জন্য হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেকটর ও আর্চওয়ে গেইট স্থাপন করা।
পূজামন্ডপে আগত ভক্তদের দেহ তল্লাশী এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা।
স্বেচ্ছাসেবকদের সিটিএসবি দ্বারা ভেটিং করানো এবং তালিকা সংশ্লিষ্ট থানার প্রেরণ করা।
নারীদের তল্লাশীর ক্ষেত্রে নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা এবং নারী-পুরুষের গমণাগমণ পথ আলাদা করা।
স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও স্বেচ্ছাসেবক লিখিত আর্মড ব্যান্ড প্রদান করা।

উপরোক্ত নির্দেশনাবলী প্রতিপালনসহ সরকার কর্তৃক পরবর্তী সময়ে প্রদত্ত নির্দেশনাসমূহ মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।