নিজস্ব প্রতিনিধি : কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার ফতেহাবাদ এলাকার বহুল আলোচিত ৬০ বছরের বৃদ্ধা মাজেদা বেগম হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন,আসামী গ্রেফতারএবংআলামত উদ্ধার করল পিবিআইকুমিল্লা।

মামলার ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামী মোঃ রনি (২২) পিতা-মোঃ মিজান সাং-ছাতিয়ানি, থানা-বি-পাড়া জেলা-কুমিল্লাকে গত সোমবার ২৭ সেপ্টেম্বর বিকাল অনুমান সাড়ে ৪ টায় সময় ব্রাহ্মনপাড়া থানাধীন টাটেরা রাস্তার মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮ টা হতে গত ৭ সেপ্টেম্বর সকাল অনুমান সাড়ে ৯ টার মধ্যবর্তী সময়ে মাজেদা বেগম (৬০) স্বামী মৃতমনিরুল ইসলাম মাষ্টার, সাং-ফতেহাবাদ থানা-দেবীদ্বার জেলা-কুমিল্লা এর মৃতদেহ তাহার বসত ঘরের মেঝেতে পা বাধা মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ সংক্রান্তে নিহতের ছেলে মোঃমারুফুল আলম(২১) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অফিসার ইনচার্জ দেবীদ্বার থানাদেবীদ্বার থানার মামল ানং ১১তারিখ ০৮/০৯/২০২১ইংধারা ৩০২/৩৪ পিসি রুজু করেন।
মামলাটি দেবীদ্বার থানা পুলিশ তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে গত ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। দেবীদ্বার থানা পুলিশ কর্তৃক তদন্তকালীন সময়ে মামলাটি পিবিআই এর সিডিউল ভূক্ত হওয়ায় পিবিআই কুমিল্লা মামলাটি অধিগ্রহনকরতঃ মামলার তদš Íকার্যক্রম শুরু করেন।
ডিআইজি, পিবিআই বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম(বার), পিপিএম এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিকনির্দেশনায় পিবিআই কুমিল্লা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুররহমান এর দিকনির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশসুপার জনাব মহিউদ্দীন মাহমুদ সোহেল এর সার্বিক সহযোগিতায় মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করেন।
আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে উল্লেখিত ঘটনাটি গত ৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতের ঘটনা। উল্লেখিত আসামী তাহার সঙ্গীয় দুইজনসহ কৌশলে ভিকটিমের বসতঘরে প্রবেশ করে ভিকটিমের হাত-পা বেধে, মুখ চেপে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে ভিকটিমের ব্যবহৃত স্বর্নালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলার পিবিআইএর পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুররহমান বলেন-মামলাটি গ্রহন করার পর আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ৭(সাত)দিনের মধ্যে মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন, আসামী গ্রেফতার ও ভিকটিমের ব্যবহৃত আলামত(স্বর্নেরকানের দুল)উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। অনান্য আসামীদের গ্রেফতার ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলার তদন্তকার্যক্রম শেষ করে বিজ্ঞআদালতে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করা হবে।
আসামী রনিকে বিজ্ঞআদালতে সোপর্দ করে ফৌজদারীকার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদানের জন্য প্রেরনকরা হয়েছে।