মশা মারতে কম্বাইন্ড অপারেশন

অর্থনীতি আইন ও আদালত এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন ঢাকা সারাদেশ স্বাস্থ্য

হাইকোর্টের কাছে প্রতিশ্রুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশা নির্মূলে ওষুধের মাত্রা বাড়িয়ে কম্বাইন্ড অপারেশন (যৌথ অভিযান) পরিচালনার কথা হাইকোর্টকে জানিয়েছেন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আইনজীবীরা। একই সঙ্গে নতুন কার্যকর ওষুধ আনতে এক মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দিন ধার্য করেছে আদালত।

শুনানিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ বলেন, বিদ্যমান ওষুধের ডোজ বাড়িয়ে দিয়ে কার্যকর ফল পাওয়া যেতে পারে। এক বারের জায়গায় একাধিক বার ফায়ার (স্প্রে) করা হবে।


বিজ্ঞাপন

তখন আদালত বলেন, তিনবার বা পাঁচবার গুলি (স্প্রে) মারতে পারেন। কিন্তু আমরা চাই মশা মরুক।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সায়রা ফায়রোজ।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আজ বেলা ১১টায় আদালতে হাজির হতে গত ২২ জুলাই নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এই আদেশ অনুসারে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা হাইকোর্টে হাজির হন। আদালত তাদের বক্তব্য শোনেন। পরে এডিস মশা নির্মূলে এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর ওষুধ আনার প্রক্রিয়া জানতে চান হাইকোর্ট। দুপুর দুইটার মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের এই তথ্য জানাতে বলা হয়। দুপুর দুইটায় আদালতের শুনানিতে দুই সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আইনজীবীরা এডিস মশা নির্মূলে ওষুধের মাত্রা বাড়ানোর কথা বলেন।

মশাবাহিত রোগ ছড়ানো বিষয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে ১৪ জুলাই হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা আকারে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে বিবাদীদের জানাতে বলা হয়েছিল।

তার ধারাবাহিকতায় ২২ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সায়রা ফায়রোজ দুই সিটি করপোরেশনের পদক্ষেপ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। এই প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট হননি হাইকোর্ট। তাই এ কার্যক্রমের বিষয়ে জানাতে দুই সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *