ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে মাদক

অপরাধ এইমাত্র

 

আট মাসে ১০ হাজার মাদক মামলা, গ্রেপ্তার ১৪ হাজার


বিজ্ঞাপন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে মাদক। বিপুল পরিমাণে জব্দ হচ্ছে হেরোইন-ইয়াবাসহ এলএসডি, আইস। এ বছরের ৮ মাসে মামলা হয়েছে ১০ হাজার, গ্রেপ্তার ১৪ হাজার আসামি। তারপরও তৎপর কারবারিরা। এ অবস্থায় গডফাদারদের নামে মানি লন্ডারিং আইনেও মামলার কথা ভাবছে ডিএমপি।
মাদক নির্মূলে জিরো টরারেন্স অবস্থানে সরকার। এর লাগাম টেনে ধরতে মরিয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। তারপরও তৎপর মাদক ব্যবসায়ীরা। করোনার মধ্যেও জব্দ হয়েছে এলএসডি, আইস, ক্যানাবিস ব্রাউনির মতো মাদক।
ডিএমপি গণমাধ্যম বিভাগের উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, এ অবস্থায় জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি অভিযান চালিয়েছে ডিএমপি। আইস-এলএসডি ছাড়াও জব্দ হয়েছে ৩২ লাখ ইয়াবা, ৬ হাজার কেজি গাঁজা, ৬১ কেজি হোরোইন, ৪০ হাজার ফেনসিডিল। মামলা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার। গ্রেপ্তার ১৪ হাজারের কাছাকাছি। দিনে গড়ে ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি।
অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলছেন, মাদকের সহজলভ্য রেখে এর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। একই সঙ্গে শুধু ছোটখাট ব্যবসায়ী নয়, আইনের আওতায় আনতে হবে গড ফাদারদেরও।
পুলিশ বলছে, গড ফাদারদের লাগাম টেনে ধরতে মাদক আইনের পাশপাশি মানি লন্ডারিং আইনে মামলার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।
গবেষণা বলছে, উদ্ধার হওয়া মাদক- বিক্রি হওয়ার মাত্র ১০ শতাংশ। দেশে ২০১০ সালে মাদকসেবীর সংখ্যা ছিল ৪৬ লাখ, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ লাখে।