ট্রেডিশনাল মেডিসিনের উন্নয়ন ও বিকাশে পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবী

এইমাত্র স্বাস্থ্য

মন্তব্য প্রতিবেদন


বিজ্ঞাপন

আমিনুর রহমান বাদশা : হোমিওপ্যাথি, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক এবং হারবাল ঔষধ এর উন্নয়ন ও বিকাশে পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবী হয়ে দাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহারে ট্রেডিশনাল মেডিসিন এর উন্নয়ন ও বিকাশের বিষয়ে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। বর্তমান ‘বাংলাদেশ ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথ প্রাকটিশনার্স অধ্যাদেশ দ্রুত সংশোধন পূর্বক আইনে পরিণত করার বিষয় উদ্যোগ গ্রহণ করা।

ইউনানি, আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক-এর জন্য একটি স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠন করাসহ ডিজিএইচএস ও বোর্ডের পরিবর্তে এ কাউন্সিলের অধীনে স্নাতক ও ডিপ্লোমা সকল ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নিবন্ধন-এর উদ্যোগ গ্রহণ করা ।

দেশের সকল ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর, ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্যসহ পূর্ণাঙ্গ অনলাইন ডেটাবেজ তৈরি করা ।

স্বাস্থ্য সেবার সকল স্তরে মেডিকেল কলেজ, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সকল সরকারি হাসপাতালে ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের পদায়নসহ স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের সুযোগ তৈরি করা।

বেসরকারি পর্যায়ে স্নাতক মানের ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক কলেজ স্থাপনের নীতিমালায় ৩০ শয্যার হাসপাতাল থাকার বিধান রয়েছে। এ ধরণের হাসপাতাল স্থাপন ও নিবন্ধন-এর নীতিমালা প্রণয়ন ও হাসপাতালের নিবন্ধন প্রদান।

গবেষণার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্নাতক মানের ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে গবেষণাগার স্থাপন ও প্রয়োজনীয় সরকারি তহবিল প্রদান।

দেশের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের উচ্চতর ডিগ্রি (এমডি, এমএস ইত্যাদি) অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করা।

বিদেশে ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক শিক্ষক ও চিকিৎসকদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ ও প্রশিক্ষণের জন্য যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত সুযোগ তৈরি করা।

ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মান উন্নয়নসহ চিকিৎসার নামে সকল অপচিকিৎসা বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ এবং চিকিৎসকদের আচরণবিধি মেনে চলার ব্যবস্থা গ্রহণ।

প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরনে এই বিজ্ঞানের উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য সরকার কর্তৃক বাজেট বরাদ্দের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন।

ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধ উৎপাদনকারী ইউনানী আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানি গুলোকে ফর্মুলা অনুযায়ী ঔষধ উৎপাদনে বাধ্য করা।