মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানি বর্বর ষড়যন্ত্রকারীরা আজও থেমে নেই

এইমাত্র জাতীয়

মন্তব্য প্রতিবেদন

তাদের ষড়যন্ত্র শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে


বিজ্ঞাপন

 

আমিনুর রহমান বাদশা : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানি বর্বর ষড়যন্ত্রকারীরা আজও থেমে নেই তাদের ষড়যন্ত্র শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে, মনে রাখতে হবে, ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব বানচাল করে মৌলবাদী, প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের ষড়যন্ত্র বাঙালি স্বার্থের পরিপন্থী জিন্নাহ তথাকথিত দ্বী জাতি তথ্যের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালের ১৪ ই আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়।

এই পাকিস্তান রাষ্ট্রের দাঁড়া বাঙালি জাতির কল্যাণ অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না ভেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপলব্ধি করেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৪৮ সালের ৪ ঠা জনুয়ারি ছাত্রলীগের জন্ম হয়।

তারপরে ১৯৪৯ সালের ২৩ শে জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজনে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সৃষ্টি হয়।

বঙ্গবন্ধু শুরুতেই উপলব্ধি করেছিলেন যে, আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি জাতির অধিকার আদায় করতে হবে। সেই লক্ষ্যে ১৯৫২ ভাষা আন্দোলন‌, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ৬ দফা ( ছয় ) দফা ঘোষণা কারণে পাকিস্তানি উপনিবেশবাদী বাঙালি জাতি সত্তার বিরোধী শাসক গোষ্ঠীর যারা ১৯৬৮ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৬৭ এর গণ-অভ্যুত্থান ১৯৭০ এর নির্বাচনী বিজয়, যাহা বাঙালি জাতির ঐক্য প্রতীক হিসেবে জাতির অবিসংবাদিত নেতা ঘোষণা পূর্বক বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করে।

তার ওই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে সালের ৭ ই মার্চ ঐতিহাসি রমনা রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

এই ঐতিহাসিক ঘোষণা প্রদান এর মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান এবং ১৯৭১ সালের ২৬ শে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কর্তৃক বাঙালি জাতির ওপর আক্রমণের প্রাক্কালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রদান করেন।

তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি এবং বাঙালি জাতির সত্তা সকল রূপকার।

৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালি জাতির জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু এই শব্দ জয়ের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় আমাদের ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার বিজয় মাল্য ।

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে ৩০ লক্ষ্য বাঙালি আত্মাহুতি, ২ লক্ষ্য মা-বোনের ইজ্জত লাঞ্চিত হওয়ার বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা। কিন্তু সেই যুদ্ধ নিছক একটি সরকার পরিবর্তনের যুদ্ধ ছিল না।

সেই যুদ্ধ ছিল পাকিস্তান উপনিবেশিক শাসন, শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। অবিচার অত্যাচারের বিরুদ্ধে আইনের শাসনের ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ।

যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার কাজে বঙ্গবন্ধু নিয়োজিত থাকা কালিন সময়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বিভীষিকাময় রাত্রিতে গণতন্ত্রের স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে।

৩ রা নভেম্বর ১৯৭৫ সালে কারাগারে অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধের সকল নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজ উদ্দিন আহমেদ, এ এইচ এম কামরুজ্জামা ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলী কে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

পাকিস্তানি বর্বর ষড়যন্ত্রকারীরা আজও থেমে নেই তাদের ষড়যন্ত্র শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে।