নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পাগল, নাকি দেশের মানুষ পাগল- এ প্রশ্ন তুলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, উনার বক্তব্যে মনে হয় রাস্তায় যে পাগল ঘুরে বেড়ায় সে যেমন মনে করে ‘সবাই পাগল সবাই ভালো’, ফখরুল সাহেবের বক্তব্যটাও সেরকম।
তিনি বলেন, বিএনপির মধ্যে অনেক নেতা আছে, যারা এ দেশটা চায় না। যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তারাই এ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে। এটি নিশ্চয়ই বের হবে, কারা ওখানে কোরআন শরিফ রেখেছিল। বের হওয়ার পর সবকিছু দিবালোকের মতো স্পষ্ট হবে। রোববার দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি (কুমিল্লার ঘটনা) আবার ভিডিও করেছে। ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এগুলো কী উদ্দেশ্যে করা হয়েছে? উদ্দেশ্য খুবই স্পষ্ট। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করা। করোনা মহামারির মধ্যেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, মহামারিও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে মানুষের কাছাকাছি তারা পৌঁছুতে পারেনি। সুতরাং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে এবং রাজনৈতিক ফায়দা লুটার স্বার্থে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠীর দোসররা মিলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
বিএনপি থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, সরকার দেশের নানারকম সমস্যাকে পাশ কাটানোর জন্য কুমিল্লার এ ঘটনা ঘটিয়েছে এবং বিরোধী বা অন্য দলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে, এ বিষয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং আরও অনেকেই বলেছেন, তাদের কাছে জানতে চাই- দেশে আর কী কী বড় সমস্যা আছে?
হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা নিয়ে তো অনেক কথা বলেছেন। করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। শনিবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল দুই শতাংশের নিচে। টিকাও ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজ খুলে গেছে। অথচ করোনা নিয়ে, টিকা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। দেশ সরকার চালায়- উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকার সবসময় চায় দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক, আর সেটি চায় দেশের অগ্রগতির জন্য। যে কোনো সরকার, এটা যদি বিএনপিও ক্ষমতায় থাকে, তাদেরও এমনটিই চাওয়ার কথা। চায় কি না জানি না। পৃথিবীর সব দেশের সরকারই সাধারণভাবে এ শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা চায়। বিএনপি কি চায় তা অবশ্য জানি না। তারা ক্ষমতায় থাকতে তো অনেক কিছুই করেছে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এ সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কারা রাজনীতি করে? সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নিয়ে কারা রাজনীতি করে? যারা দেশকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়, তারাতো বিএনপি জোটের মধ্যে আছে। যারা কথায় কথায় দেশকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র করতে চায়, তারাতো বিএনপি জোটের মধ্যেই আছে।